মহামারী নিয়ন্ত্রণের বিধিনিষেধে সাত সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে অর্ধেক আসনে যাত্রী নিয়ে আবারও গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন।
ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত ৬টি যাত্রীবাহী ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। তবে সাধারণ সময়ের তুলনায় যাত্রী কিছুটা কম বলে রেল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে গত ৫ এপ্রিল সরকার লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপ করলে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সরকার রোববার দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহনে বিধিনিষেধ শিথিল করলে সোমবার থেকে ট্রেন চালানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে।
প্রাথমিকভাবে সারাদেশে ২৮ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন, ৯টি মেইল এক্সপ্রেস ও কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এসব ট্রেনের অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখা হচ্ছে এবং সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হচ্ছে।
সোমবার সকালে কমলাপুর রেল স্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, আপাতত কেবল অনলাইনে টিকেট পাওয়া যাবে। ট্রেনের আসন সংখ্যার অর্ধেক টিকেট বিক্রি হবে। টিকেট ছাড়া কেউ স্টেশনে প্রবেশ করতে পারবে না।
সকল স্টেশনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কড়া নির্দেশনা রয়েছে জানিয়ে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে যাত্রী কম, যাত্রী সংখ্যা বাড়লে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোমবার সকাল থেকে ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস, লোকাল ট্রেন বলাকা এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী, কর্ণফুলী ও কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে।
সব টিকেট অনলাইনে দেওয়ায় প্রথম দিন যাত্রী কিছুটা কম বলে জানান মাসুদ সারোয়ার।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রেলওয়ের ৩৬২টি ট্রেনের মধ্যে স্বাভাবিক সময়ে ১০২টি আন্তঃনগর ট্রেন এবং ২৬০টি লোকাল, কমিউটার ট্রেন ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করে।