২০২৩ সালের মধ্যে মাগুরা থেকে রেলপথে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় যেতে পারবে এ অঞ্চলের মানুষ। এতে করে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে মাগুরাসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর যোগাযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। কর্মসংস্থান ও পণ্য পরিবহনে আসবে নতুন মাত্রা।
মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে এ ধরনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রেলপথ মন্ত্রী মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম সুজন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর। উপস্থিত ছিলেন রেলপথ সচিব মোহাম্মদ সেলিম রেজাসহ রেল মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলমসহ জেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরিদপুরের মধুখালী থেকে মাগুরার ঠাকুর বাড়ি পর্যন্ত ২৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন এ রেল লাইনের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এ উপলক্ষে মাগুরা শহরতলীর রামনগরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এই রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুল হক জানান, ১ হাজার ২০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মধুখালী হতে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ২৪.৮ কিলোমিটার নতুন এ রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এছাড়া মাগুরা ও কামারখালীতে ২টি নতুন স্টেশন ও ২টি প্লাটফর্ম, ২টি সেড নির্মাণ, একটি আন্ডারপাস, গড়াই ও চন্দনায় ২টি মেজর রেল সেতু, ২৮ মাইনর ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।
এর পাশাপাশি সিগন্যালিং ও ইলেকট্রিক্যাল কাজ করা হবে। এ কাজের জন্য ১৩০ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। ২০১৪ সালের ১৪ মে এই নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
তিনি আরো জানান, বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, সে লক্ষে মাগুরা জেলাকে রেল সংযোগের আওতায় আনার মধ্য দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চালের জনপথকে রেল সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্য অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।