ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে উপজেলা পরিষদ কর্তৃক রাস্তা নির্মাণের এক মাস না যেতেই সেই রাস্তা তুলে ফেলেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এতে উপজেলা পরিষদের এডিপি প্রকল্পের দুই লাখ টাকা গচ্চা যেতে বসেছে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দাবি, অনুমতি না নিয়ে রেলওয়ের জমিতে ওই রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। তাই সদ্য নির্মিত রাস্তার ইট তুলে ফেলা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বাইখির রেলক্রসিং থেকে রেলের পাশ দিয়ে এক মাস আগে ৫২৫ ফুট দৈর্ঘ্যের ইটের রাস্তা নির্মাণ করে উপজেলা পরিষদ। স্থানীয় সরকার বিভাগের টাকা (এডিপি) ২ লক্ষ টাকা দিয়ে এই রাস্তা নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সোমবার (২ আগস্ট) ওই রাস্তার ইট তুলে ফেলেছে রেলওয়ে কতৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী রেল স্টেশনের দায়িত্বরত সুপার ভাইজার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের না জানিয়েই রেলের পাশ দিয়ে রেলের জমিতে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এই রাস্তার কারণে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে রাস্তার ইট তোলা হয়েছে।
চতুল ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু বলেন, আমার এলাকার মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য রেল লাইনের পাশ দিয়ে যাওয়া রাস্তায় মাটি কেটে দিয়ে বেশ কয়েকবার মেরামত করেছি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওই রাস্তায় ইট বসাতে গেলে রেল কর্তৃপক্ষ বাধা দিয়েছিল। তারপর আর ওই রাস্তায় ইট বসানোর কাজ করিনি। তবে এখন যারা ওই রাস্তায় ইট বসিয়েছেন ও ইট তুলে ফেলেছেন তারা অবশ্যই জনগণের টাকা নষ্ট করেছেন।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলাম বলেন, এডিপির কাজের জন্য রাস্তার নাম তো আমি দেই না। রাস্তার নাম দেন উপজেলা চেয়ারম্যান। এডিপির ফান্ডের টাকা হলো উপজেলা চেয়ারম্যানের। আমি শুধু টেন্ডার করার দায়িত্বে।বোয়ালমারী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম মোশারফ হোসেন বলেন, জনসাধারণের সুবিধার্থে আমরা রাস্তাটি করেছিলাম। কিন্তু কেন রেলওয়ে সেটি তুলে ফেলল তা আমার বোধগম্য নয়।রেলওয়ের জমিতে রাস্তা তৈরির বিষয়ে তিনি বলেন, পৌরসভার ভেতরেও এমন অনেক রাস্তা আছে যেগুলো রেলওয়ের জমিতে কিন্তু জনসাধারণের চলাচলের জন্য পাকা করেছে উপজেলা পরিষদ। সেসব রাস্তায় নির্মাণের ক্ষেত্রে তারা কখনও আপত্তি জানায়নি।