স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। প্রবেশপথে রাখা হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। যাত্রীদের হাত স্যানিটাইজ করে দিতে দায়িত্ব পালন করছেন নিরাপত্তাকর্মীরা। মুখে মাস্ক নেই এমন ক্রেতার কাছে কাউন্টারে দায়িত্বরত কর্মকর্তা টিকিট বিক্রি করছেন না। টিকিটধারী যাত্রীদের মুখে মাস্ক না থাকলে রেলস্টেশনের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর স্ট্যান্ডিং টিকিট ও স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ অনুযায়ী মোট আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলছে আন্তঃনগর ট্রেন। ১৫ জানুয়ারি থেকে নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। সকালে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সব আন্তঃনগর ট্রেনে অর্ধেক যাত্রী দেখা গেছে। সবার ছিল মুখে মাস্ক। স্টেশনে মাস্ক ব্যবহারে কঠোরতা বজায় রয়েছে।
এর আগে যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে ১২ জানুয়ারি থেকে আন্তঃনগর ট্রেনে মোট আসন সংখ্যার অর্ধেক টিকিট বিক্রি শুরু হয়। হ্রাসকৃত টিকিটের ৫০ শতাংশ মোবাইল অ্যাপ বা অনলাইনে এবং বাকিটা কাউন্টার থেকে কেনা যাবে বলে জানায় রেল কর্তৃপক্ষ।
আন্তঃনগর ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও যাত্রীদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার স্বার্থে সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে টিকিট বিক্রিতে কয়েকটি সংশোধন আনা হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত ইমার্জেন্সি কোটা ও ম্যানুয়াল অনুযায়ী কোটা ব্যতীত আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রিতে সব ধরনের কোটা ব্যবস্থা রহিত করা হয়েছে। প্রচলিত নিয়মানুযায়ী ও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে আন্তঃনগর ট্রেনে ক্যাটারিং সেবা প্রদান ও রাত্রিকালীন বেডিং সরবরাহ করা হবে।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন