স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ দেড় মাস আগে ট্রেনের ধাক্কায় চারজন নিহতের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের ট্রেনের ধাক্কায় চারজনের প্রাণ গেল। বুধবার সকাল সাতটার দিকে নীলফামারী সদরের দারোয়ানী রেলস্টেশনের অদূরে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের আরোহী চার নারী শ্রমিক নিহত হন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ইজিবাইক চালকসহ পাঁচযাত্রী। হতাহতরা সবাই নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের ভ্যানচুরা নামের একটি শিল্পকারখানার শ্রমিক। আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি খুলনা থেকে চিলাহাটি যাচ্ছিল।
ঘটনাস্থলের অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা ওই গ্রামের মনছুর আলী বলেন, ট্রেনের হুইসেল শুনতে পেরে আমি ইজিবাইক চালক অহিদুল ওরফে আপন হোসেনকে চিৎকার করে বলি ট্রেন আসছে তুমি রেলক্রসিং পার হইও না। কিন্তু সে কোন কথা শোনেনি। সে দ্রুত রেলক্রসিং অতিক্রম করার চেষ্টা করলে চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস চলে আসে। এতে ট্রেনের সঙ্গে প্রচ-ভাবে ধাক্কা লাগলে যাত্রীসহ ইজিবাইকটি দুমড়ে মুচড়ে রেলপথ থেকে প্রায় ৫০ গজ দূরে ছিটকে পড়ে। এ সময় ঘটনাস্থলে নিহত হন গ্রামের আশরাফ আলীর স্ত্রী শেফালী বেগম (৩৫)
স্থানীয়রা দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে বেলাল হোসেনের স্ত্রী ছায়া বানু (২৬) ও মোশাররফ হোসেন বদির স্ত্রী রোমানা বেগম (২৫) এবং রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে আরমান হোসেনের স্ত্রী মিনারা আকতার (২২) মারা যান।
এ দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন ইজিবাইকচালক অহিদুল ওরফে আপন হোসেন (২৮), নাজনীন (৩৫), রওশন আরা কুলছুম (৩০) ও রুমা আকতার (২৮)। এদের মধ্যে নাজনীন ও রওশন আরাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে নাজনীনের স্বামী ও কুলছুমের ভাই গোলাম মোস্তফা জানান। তিনি আরও বলেন, এরা সকলেই উত্তরা ইপিজেডের ভ্যানচুরার শ্রমিক।
মির্জাপুরে ট্রেনের ধাক্কায় মহিলা ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ট্রেনের ধাক্কায় শ্রবণ প্রতিবন্ধী এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে ডুকলাহাটিতে একতা ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় মেহেরভানু নামে ওই মহিলার। তিনি মহেড়া ইউনিয়নের কড়াইল গ্রামের সাঈদ মিয়ার স্ত্রী।