গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুতের ঘটনার ১২ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের ইঞ্জিন ও বগি দুটি উদ্ধার করলে ওই রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মৌচাক রেলস্টেশনের সামনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি বগি ও ইঞ্জিনের একটি অংশ লাইনচ্যুত হয়। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গতকাল রাতে ওই দুর্ঘটনার পর কয়েক হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন। বগি লাইনচ্যুত হওয়ার সময় উত্তরবঙ্গ ও ঢাকাগামী কয়েকটি ট্রেন জয়দেবপুর, মির্জাপুর ও টাঙ্গাইল স্টেশনে অপেক্ষমাণ ছিল। এ সময় ওই ট্রেনগুলোর যাত্রীরা বিপাকে পড়েন।
মৌচাক স্টেশনে সারা রাত অপেক্ষা করেছেন ঢাকাগামী যাত্রী হাসান উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘গতকাল রাত থেকে অপেক্ষায় আছি কখন ট্রেন ছাড়বে। কিন্তু সারা রাত অপেক্ষার পরও ট্রেন মেরামত হয়নি। পরে সকালে বাসে ঢাকায় গেছি।’
জয়দেবপুর জংশনের মাস্টার রেজাউল ইসলাম বলেন, গতকাল রাত ১০টার দিকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি মৌচাক স্টেশন পার হচ্ছিল। এ সময় ইঞ্জিনের একাংশ ও ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ঢাকা-রাজশাহী, উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পশ্চিমবঙ্গগামী সব ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এতে ওই রুট ব্যবহারকারী বেশ কয়েকটি ট্রেন মৌচাকসহ আশপাশের বিভিন্ন স্টেশনে থেমে ছিল। পরে দিবাগত রাত দুইটার দিকে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়।
পাকশি রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহীদুল ইসলাম বলেন, রাতেই ঢাকা ডিভিশন থেকে রিলিফ ট্রেন এনে কাজ করা শুরু করা হয়েছিল। সকাল ১০টার দিকে ইঞ্জিন ও বগি দুটি উদ্ধার করে ওই লাইনে রেল যোগাযোগ সচল করা হয়। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তাকে প্রধান করা হয়েছে। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সূত্র: প্রথম আলো