ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর প্রদর্শনী চলছে। জাতির পিতার শৈশব-কৈশোর ও কর্মময় জীবনের ধারাবাহিক ১২টি পর্ব নিয়ে রেলওয়ের একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় সাজানো হয়েছে এ জাদুঘর।
গত বৃহস্পতিবার থেকে চালু হওয়া ৪ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী চলবে আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা এবং বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত আছে এ জাদুঘর।
ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন জংশনের সুপারিন্টেন্ডেন্ট মো. জাহাঙ্গীর আকন্দ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতি সম্মান জানাতেই ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন, জীবনাদর্শ, জাতির জন্য তার আত্মত্যাগ ও অবদানকে শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়া এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এ উদ্যোগ।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এই জাদুঘর সাজানো হয়েছে। এতে রয়েছে জাতির পিতার শৈশবের দিনগুলো, পর্যায়ক্রমে তার ছাত্রজীবন, বেড়ে ওঠা, মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মাধ্যমে গণমানুষের প্রাণের নেতা হয়ে ওঠা, ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক হিসেবে তার অবদান, অধিকার আদায়ের সংগ্রাম।
এছাড়া মিথ্যা মামলা ও কারাভোগের করুণ চিত্র, তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রাম, বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ছয় দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীন দেশ পুনর্গঠনে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত হতে পারছেন দর্শনার্থীরা।
প্রদর্শনীর প্রতিটি কনটেন্ট নির্মাণ করা হয়েছে ভিডিও এবং স্থিরচিত্রের সমন্বয়ে। কোচের এক প্রান্তে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণসহ গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত গান প্রচার করা হচ্ছে।
জাদুঘরটিতে আরও আছে বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত গুরুত্বপূর্ণ বই। এছাড়া রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত বিভিন্ন শিশুতোষ সাহিত্যকর্ম। জাদুঘরে তৈরি করা হয়েছে ফুলের বাগান।
জাদুঘরটিতে ১২টি টেবিলে রাখা আছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত চশমা, পাইপ, মুজিব কোট, টুঙ্গিপাড়ার সমাধিস্থলসহ ১৩টি ঐতিহাসিক নিদর্শনের রেপ্লিকা। এছাড়া রয়েছে দেশের স্বাধীনতা ও গৌরবের প্রতীক জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ মুক্তি সংগ্রামের দুর্লভ সব চিত্র। রয়েছে বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে লেখা চিঠি। জাদুঘরের বহিরাবরণ সজ্জিত করা হয়েছে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত ধারাবাহিক সংগ্রাম চিত্রিত হয়েছে ম্যুরালের মাধ্যমে।
Source: The Daily Star