ঢাকা থেকে নোয়াখালী আসার পথে যাত্রীবাহী আন্তনগর ‘উপকূল এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ফুটফুটে এক ছেলেসন্তানের জন্ম দিয়েছেন তানিয়া আক্তার (২৫) নামের এক মা। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সহায়তায় ওই প্রসূতি মাকে কুমিল্লা স্টেশনে নামিয়ে স্থানীয় খিদমাহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
একই ট্রেনে ঢাকা থেকে নোয়াখালী আসছিলেন সুবর্ণচর উপজেলার বাসিন্দা মো. মাঈন উদ্দিন ওরফে বাবলু। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তিনি উপকূল ট্রেনের খ বগির যাত্রী ছিলেন। একই বগিতে ৪৮ নম্বর সিটের যাত্রী ছিলেন সন্তানসম্ভবা নারী তানিয়া ও তাঁর মা। তাঁদের সঙ্গে পুরুষ কেউ ছিলেন না। তাঁরা ট্রেনে উঠেছিলেন নরসিংদী স্টেশন থেকে। তাঁদের নোয়াখালীর সোনাপুর স্টেশনে নেমে যাওয়া কথা ছিল।
মাঈন উদ্দিন আরও বলেন, ট্রেনে ওঠার কিছুক্ষণ পর সন্তানসম্ভবা ওই নারীর প্রসববেদনা শুরু হয়। একপর্যায়ে তাঁর ব্যথা বেড়ে যায়। এ সময় ট্রেনে থাকা অন্য নারী যাত্রীদের সহায়তায় তিনি ফুটফুটে একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে সন্তানের জন্ম হয়। খবরটি মুহূর্তেই পুরো ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
উপকূল ট্রেনের ওই যাত্রী আরও বলেন, নারীর সন্তান জন্মদানের খবর পেয়ে ওই বগিতে ছুটে আসেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা। তাঁরা নবজাতক ও প্রসূতি মায়ের চিকিৎসার কথা ভেবে নবজাতকসহ প্রসূতি নারী ও তাঁর মাকে কুমিল্লা স্টেশনে নামিয়ে স্থানীয় বেসরকারি খিদমাহ হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। তিনি বলেন, ওই প্রসূতি মাকে দেখে তেমন সচ্ছল মনে হয়নি। তাঁদের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
ট্রেনের নিরাপত্তাকর্মী এনামুল হক বলেন, তিনি একেবারে পেছনের বগিতে ছিলেন। কসবার মন্দবাগ রেলক্রসিংয়ের পর পুলিশ তাঁকে ট্রেনে সন্তান জন্ম দেওয়ার ঘটনাটি জানান। তখন তিনি দ্রুত ওই বগিতে ছুটে যান। পরে বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান এবং তাঁদের পরামর্শে ওই প্রসূতি মা ও নবজাতকের চিকিৎসার সুবিধার্থে কুমিল্লা স্টেশনে নামিয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন।