।। রেল নিউজ 24 ডেস্ক ।।
চূড়ান্ত হয়েছে সময় সূচি, পয়লা নভেম্বর থেকেই বাণিজ্যিকভাবে ছুটবে পদ্মা সেতু দিয়ে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস। এ কারণে চলছে ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথ ও স্টেশনগুলোর শেষ মুহূর্তের কাজ। একই সঙ্গে প্রস্তাবিত ভাড়া নির্ধারণের প্রক্রিয়া চলছে। ট্রেনগুলোকে অভ্যর্থনা জানাতে উন্মুখ হয়ে আছে পদ্মা পাড়ের মানুষ।
বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত পদ্মা সেতুও। সেতুর দুই পাড়ের রেলপথ এবং রেল স্টেশনগুলো যাত্রী ও মালবাহী দ্রুতগতির ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে। পুরো রেল পথের সিগনালিং সিস্টেম, মার্কিং, স্টেশনগুলোর টিকিটিং, মানসম্মত যাত্রী সেবার অবকাঠামো, ফার্নিচার, লোকবল পদায়ন, সিডিউল তৈরিসহ রেল চালুর সব আয়োজন চলছে এখন।
ঢাকা-খুলনা রুটে চলাচলকারী সুন্দরবন এক্সপ্রেস রুট পরিবর্তন করে ১ নভেম্বর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে চলবে। পরদিন ২ নভেম্বর ঢাকা-বেনাপোল রুটে চলাচলকারী বেনাপোল এক্সপ্রেসও রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে চলাচল করবে। এতে দূরত্ব কমবে। পর্যায়ক্রমে নতুন রুটে সিডিউলে অন্য ট্রেন অন্তর্ভুক্ত করার কাজও চলমান।
এদিকে বাণিজ্যিক রেলে ভ্রমণ করতে উন্মুখ হয়ে আছে পদ্মা পাড়ের মানুষ। উচ্ছ্বাসের যেন শেষ নেই। ভাড়া সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনার সিদ্ধান্তে খুশি তারা।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত ভাড়া কমিয়ে আনার প্রক্রিয়াসহ পয়লা নভেম্বর নতুন এই রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ চলছে।
ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটারে ট্রেন চলবে আগামী জুনে। আর ভাঙ্গা-যশোর অংশের স্টেশন ১০টি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা-ভাঙ্গা ৮২ কিলোমিটার নতুন রেল পথের ১০ স্টেশনের মধ্যে পয়লা নভেম্বর চালু হবে ৬টি স্টেশন।