ঢাকা থেকে লালমনিরহাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি ট্রেনে ভুলবশত উঠে পড়া এক কিশোরীকে (১৪) কেবিনে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে লালমনিরহাটগামী ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস গাজীকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়। অভিযুক্ত অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস গাজীর বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ এলাকায়।
এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক মো. রুহুল আমিন বাদী হয়ে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গতকাল রাতে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে লালমনিরহাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় লালমনিরহাটের তিস্তা রেলস্টেশনে এসে পৌঁছায়। তখন ট্রেনে কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ট্রেনের ‘খ’ বগির ৭ নম্বর কেবিনের ভেতর থেকে একটি কন্যাশিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান। তখন কেবিনের দরজা বন্ধ ছিল। এ অবস্থায় ডাকাডাকি করলে কেবিনের ভেতরে থাকা অভিযুক্ত অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস গাজী দরজা খুলে দেন। তখন ওই কিশোরীকে বিবস্ত্র অবস্থায় কান্না করতে দেখা যায়।
এজাহারে আরও বলা হয়, মেয়েটিকে উদ্ধারের পর উপস্থিত লোকজন জিজ্ঞাসা করলে সে পুরো ঘটনা খুলে বলে। মেয়েটি জানায়, তার জয়দেবপুর রেলস্টেশন থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার কথা ছিল। ভুলবশত সে ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনে উঠে পড়ে। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস গাজী তার টিকিট চেক করতে আসেন। তার কাছে টিকিট না থাকায় আক্কাস গাজী তাকে একটি আসনে বসিয়ে দেন। এরপর আনুমানিক সকাল সাড়ে আটটার দিকে অ্যাটেনডেন্ট আসন থেকে তাকে কেবিনে এনে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করেন।
লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস আলী বলেন, এ ঘটনায় মামলা করার পর ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনের কর্মী আক্কাস গাজীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী মেয়েটিকে লালমনিরহাটের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সূত্র: প্রথম আলো