ঢাকাবাসীর মন কেড়েছে মেট্রোরেল। যদিও এটি এখন শুধু একটি রুটেই চলছে, তারপরও উত্তরা ও মিরপুরের মতো দূর নিবাসীদের কাছেও এখন মেট্রোরেলের কারণে মতিঝিল হয়ে উঠেছে সহজ গন্তব্য। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বুয়েটসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, হাইকোর্ট ও নিম্ন-আদালতের আইনজীবী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, অন্যান্য পেশার কর্মজীবী সবার কাছেই যানজটের দুর্ভোগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকার চেয়ে সহজ যাতায়াত মাধ্যম মেট্রোরেল। আর এ কারণে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার চেয়ে সময় সাশ্রয়ী এমআরটি পাসকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন যাত্রীরা। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ৫ দিনে প্রায় ৪০ হাজার এমআরটি পাস বিক্রি হওয়ার কথা জানিয়েছে মেট্রোরেলের কর্তৃপক্ষ ডিএমটিসিএল।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড বা ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, পুরোদমে মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর গত ৫ দিনে প্রায় ৪০ হাজার যাত্রী আমাদের এমআরটি পাস কিনেছেন। যাত্রীদের চলাচলের এ ব্যাপক আগ্রহ, ব্যাপক ভিড়ও সৃষ্টি করছে। ভিড় কমাতে মেট্রোরেল চলাচলের মধ্যবর্তী সময় কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। পিক আওয়ারে ১০ মিনিটের বদলে যা ৬ থেকে ৭ মিনিট পরপর ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া আপাতত কোচ (বগি) বাড়ানোর চিন্তা নেই। এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, বর্তমানে মেট্রোরেল প্রতিদিন দেড়শ বার যাতায়াত করছে ও এখন ১০ মিনিট পরপর চলছে। যদি আমরা সময় কমিয়ে আনি সেক্ষেত্রে চলবে ১৭০ থেকে ১৮০ বার। এতে মেট্রোরেলে যাত্রীদের ভোগান্তি অনেকাংশেই কমবে।
এ ছাড়া প্রতি কোচে ২ হাজার ৩০৮ জন যাত্রী বহনের সুযোগ রয়েছে। সে তুলনায় যাত্রী যাচ্ছে এক হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার। প্রতিটি কোচে গেট রয়েছে ৪টি; কিন্তু যাত্রী উঠছে ২টি গেট দিয়ে। মানুষ এখনো অভ্যস্ত হয়ে ওঠেনি। এতে প্রতি কোচে ২০০ জনের বেশি যাত্রী বহনের জায়গা খালি যাচ্ছে।
সূত্র: দৈনিক বাংলা