বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্যাডারবহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগসংক্রান্ত বিধিমালায় সরাসরি নিয়োগে (১৪তম থেকে ২০তম গ্রেড) মোট শূন্য পদের শতকরা ৪০ ভাগ পোষ্যদের জন্য সংরক্ষিত রাখাসংক্রান্ত বিধান প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্যাডারবহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালার ৩(৩) উপবিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রোকনুজজামান গত ২৬ মে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্যাডারবহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা–২০২০–এর ৩(৩) উপবিধি অনুসারে, সরাসরি নিয়োগযোগ্য ১৪তম থেকে ২০তম গ্রেডের মোট শূন্য পদের শতকরা ৪০ ভাগ পদ যোগ্যতাসম্পন্ন পোষ্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এই উপবিধি মৌলিক অধিকারসংক্রান্ত সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের (২৬, ২৭, ২৮ ও ২৯ অনুচ্ছেদ) সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। রেলসচিব, আইনসচিবসহ বিবাদীদের ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পরে আইনজীবী মো. রোকনুজজামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্যাডারবহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা–২০২০–এর ৩(৩) উপবিধিতে রেলওয়েতে যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁদের সন্তানদের জন্য ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখা হয়েছে। এই উপবিধি সংবিধানের ২৬, ২৭, ২৮ ও ২৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যে কারণে রিটটি করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত ওই রুল দেন।’