আজ বুধবার বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাটের বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ এন্ড ওয়াগন) মোঃ তাসরুজ্জামান বাবুর প্রচেষ্টায় এই ইনোভেশন এর এক্সপেরিমেন্ট হতে যাচ্ছে। দেখতে ছোট হলেও কাজের দিক থেকে প্রযুক্তিটি অটোমেটেড টার্নটেবিলের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়।
শান্টিং এর সময় লোকো/কোচ লাইনচ্যুত হলে, বা বগি ট্রলির কাজ করার জন্য সহজেই রি-রেইলিং ইকুইপমেন্ট দিয়ে লিফট করে ট্রেন ফিট করে দেওয়া হয়। কিন্তু পিছিয়ে থাকা লালমনিরহাট ডিভিশনের কোনো ক্যারেজ ডিপোতেই অতি গুরুত্বপূর্ণ এই যন্ত্রটি নেই।
জানা যায়, সমগ্র বাংলাদেশ রেলওয়েতেই এই যন্ত্রটি এক সেট করে আছে মাত্র কয়েকটি লোকোশেডে। এগুলোর কোনোটিই লোকো বিভাগ বা স্টোর বিভাগ থেকে ক্রয় করা সম্ভব হয়নি, বরং রিলিফ ক্রেন ক্রয় বা অন্য কোনো প্রজেক্টের সাথে এগুলো অনুদান হিসেবে এসেছে।
এমনকি বৈদেশিক আমদানি নির্ভর হওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে ক্রয় করা কষ্টসাধ্য হওয়ায় পাকশী ক্যারেজ বিভাগেও এই যন্ত্রটির বিপুল প্রয়োজনীয়তা থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে ক্রয় করতে পারছে না।
২০০৪ সালে আগত এক সেট রি-রেইলিং ইকুইপমেন্ট বর্তমানে রাজবাড়ি লোকশেডে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০১৪ সালে বিশ্বব্যাংকের অনুদানে প্রাপ্ত ৪ সেট রি-রেইলিং ইকুইপমেন্ট লালমনিরহাট, ঈশ্বরদী, ঢাকা ও কেওয়াটখালি লোকোশেডে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়াও বহু পুর্ব থেকে এক সেট করে রি-রেইলিং ইকুইপমেন্ট চট্টগ্রামের পাহাড়তলী লোকোশেড ও লাকসাম লোকোশেডে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এর বাইরে প্রয়োজনীয়তা থাকা সত্ত্বেও অনেক লোকোশেডেই এখনও রি-রেইলিং ইকুইপমেন্ট প্রদান করা সম্ভব হয়নি।
লালমনিরহাট ক্যারেজ বিভাগের স্বতন্ত্র প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে নিজস্ব গবেষণার মাধ্যমে দেশীয় প্রযুক্তিতে এই যন্ত্রটি তৈরি করেছেন, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ এন্ড ওয়াগন) মোঃ তাসরুজ্জামান বাবু।
