Monday, April 21, 2025

ইঞ্জিন ও কোচ সংকটে রেলওয়ে

Must read

পর্যটনের ভরা মৌসুম এখন। চাহিদা থাকলেও দেশের পর্যটনের প্রধান কেন্দ্র কক্সবাজারমুখী ট্রেনের সংখ্যা কম। এই রুটে ঢাকা থেকে ছাড়ে মাত্র ২টি ট্রেন। এতে প্রতিদিন যেতে পারেন ১৫শ’ ৬৮ জন যাত্রী। কিন্তু চাহিদা কয়েকগুণ বেশি।

কেবল কক্সবাজার রেলপথ নয়, নিরাপদ ও আরামদায়ক হওয়ায় ট্রেনে চলাচলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে সারাদেশে। প্রতিদিন ১ লাখ ৬৭ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে সক্ষম বাংলাদেশ রেলওয়ে। এজন্য ৩৩৯টির মতো যাত্রীবাহী ট্রেন কাগজে-কলমে আছে রেলের। কিন্তু ইঞ্জিন ও কোচ সংকটের কারণে সবগুলো চলছে না। চাহিদা অনুযায়ী যাত্রীবাহী ট্রেনই নয়, যথাসময়ে পণ্য পরিবহনও করা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে অনেকটা অসহায় রেল কর্তৃপক্ষ।

পুরনো ইঞ্জিনের কারণে ট্রেনে যাতায়াতের সময়ও বাড়ছে। কিছু ট্রেনের চলাচলও বাতিল করতে হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষকে।

রেল সচিব ফাহিমুল ইসলাম বলেছেন, লোকোমোটিভের স্বল্পতার জন্য আমরা ট্রেন বাড়াতে পারছি না। ঘুরে ফিরে কিন্তু লোকোমোটিভের স্বল্পতা ও ক্যারেজের স্বল্পতার ঘেরাটোপে ঘুরপাক খাচ্ছি আসলে।

রেলের মহাপরিচালক (ডিজি) আফজাল হোসেন বললেন, প্রায়ই তো আমাদের ইঞ্জিন ফেল হচ্ছে। ট্রেন যে সময়ে যাওয়ার কথা, সেই সময় অনুযায়ী ট্রেন চলাচল করছে না। কিছু কিছু লোকাল ট্রেন বাতিল করতে হচ্ছে। ইঞ্জিন বুস্টের অভাবে ট্রেন যেতেও সময় লাগছে।

দীর্ঘদিন ধরেই ইঞ্জিন ও প্যাসেঞ্জার কোচ কেনায়-রেলের প্রস্তাব ঝুলে আছে। এর মধ্যে রয়েছে কোরিয়ার ইকোনমিক ডেভলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ডের (ইডিসিএফ) আর্থিক সহায়তায় ৯০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক ইঞ্জিন ও ৪৬টি ব্রডগেজ ইঞ্জিন কেনার প্রস্তাব। ইআরডির মাধ্যমে দেশটি থেকে ২৬০টি ব্রডগেজ ও ৩০০টি মিটারগেজ প্যাসেঞ্জার কোচ কেনার প্রস্তাবও দেয়া আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে ২০০টি ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার কোচ সংগ্রহের প্রকল্প অনুমোদন হলেও এর কোনও অগ্রগতি নেই। এগুচ্ছে না ভারতের ঋণ সহায়তায় ২৯০টি ব্রডগেজ বগি ফ্লাট কন্টেইনার ট্রাক ওয়াগন ও ২০টি বগি ব্রেক ভ্যান সংগ্রহের কাজও।

আফজাল হোসেন বলেন, কোরিয়া থেকে কিছু কোচ এনেছি আমরা। আরও ৩৫টি কোচ অতিরিক্ত অর্ডার দেয়া হয়েছিল। সেটাও চলে আসবে। আর ইন্ডিয়া থেকে কিছু কোচ যেটা আসার কথা, সেটা আগামী ছয় মাসের মধ্যে এলে একটা ঘাটতি হয়তো অনেকটা পূরণ হইতে শুরু করবে। কিন্তু ইঞ্জিনের সমস্যাটা আমাদের থেকে যাবে। কোরিয়ার একটা প্রকল্প আছে। তাদের সাথে এখনও কোনো চুক্তি হয়নি।

ফাহিমুল ইসলাম বললেন, আমাদের যোগাযোগ চলছে। ইআরডির মাধ্যমে যেহেতু ঋণ চুক্তিগুলো হয়, কাজেই এটা তো একটু সময় লাগে আসলে। চট্টগ্রাম-দোহাজারী যে প্রকল্পটি আছে, এখানে ত্রিশটা মিটার গেছে, লোকোমোটিভ আসবে খুব তাড়াতাড়ি।

রেল কর্তৃপক্ষ আরও বলছে, প্রস্তাব অনুযায়ী ইঞ্জিন ও কোচ সংগ্রহ করা গেলে সংকট কাটবে। এতে চাহিদা অনুযায়ী বাড়ানো যাবে যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেনের সংখ্যা।

- Advertisement -spot_img

More articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

Latest article