Monday, April 21, 2025

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘কালনী এক্সপ্রেস’ ট্রেনের যাত্রাবিরতি শিগগিরই

Must read

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রেলপথে চলাচলরত আন্তঃনগর ‘কালনী এক্সপ্রেস’ ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে। বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এ তথ্য দিয়েছেন।

এছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রেল সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম বলেন, ‘(কালনী এক্সপ্রেস) ট্রেন থামার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তা কার্যকর হবে।’

ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু, চট্টগ্রাম–জামালপুর–চট্টগ্রাম রুটের ‘বিজয় এক্সপ্রেস’ ও ঢাকা–সিলেট–ঢাকা রুটের ‘কালনী এক্সপ্রেসের’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি ও বিদ্যমান ট্রেনসমূহের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করার দাবি জানানো হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। এ নিয়ে জেলা নাগরিক ফোরাম গত কয়েক বছর ধরে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।

বর্তমান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এ ব্যাপারে গেল বছরের ২ অক্টোবর রেলপথ মন্ত্রনালয়ের সচিবের কাছে চিঠি দেন। যাতে জেলার ট্রেন যাত্রীদের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরা হয়।

জেলা প্রশাসকের ওই চিঠিতে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সুদীর্ঘকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট রেল যোগাযোগের সংযোগস্থল হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রীর ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। ট্রেনের আসন সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় দাঁড়িয়ে ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা রেলভ্রমণ করছেন। ভীড়ের কারণে টিকেটধারী যাত্রীরা নির্ধারিত বিরতিকালে ট্রেনে উঠতে পারছেন না ও ট্রেনে উঠতে দুঃসহ বিড়ম্বনা শিকার হচ্ছেন। তাছাড়া ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাজ চলমান অবস্থায় যানজটে চরম দুর্দশার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠেছে ট্রেন।

এই চিঠি দেওয়ার পরও জেলা প্রশাসক তাঁর চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। সর্বশেষ গত ১২ জানুয়ারি রেল সচিবের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেল যাত্রীদের দুর্দশার বিষয়টি তুলে ধরেন। এরপর দ্রুতই রেল সচিব এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন। 

অবশ্য এরআগে ২০২৩ সালের মার্চে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে পাঠানো জেলা প্রশাসনের পাক্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির বিষয়টি স্থান পায়। এরপরই ওই বছরের ৫ এপ্রিল মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে রেল সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুশাসন প্রদানের এক বছর অতিক্রান্ত হলেও নির্দেশনার বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে জেলা নাগরিক ফোরাম তাদের রেল যাত্রাবিরতির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে। ২০২৩ সালের ১৫ জুন এবং ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রেল সচিব বরাবর স্মারকলিপি দেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরাম।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য বলেন, ‘আমরা প্রায় পাঁচ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি। কিন্তু কোনো সুফল পাইনি। আজকে শুনতে পেলাম রেল মন্ত্রণালয় আমাদের দাবির আংশিক পূরণ করেছে। কালনী এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি হবে। এটি নাগরিক ফোরামের জন্য একটি সুসংবাদ। কিন্তু আমাদের মূল দাবি হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া–ঢাকা–ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে একটি স্পেশাল ট্রেন দিতে হবে।’

- Advertisement -spot_img

More articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

Latest article