Monday, April 21, 2025

বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে উপদেশ দিয়ে মৎস্য কর্মকর্তার খোলা চিঠি!

Must read

বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বরাবর খোলা চিঠি //আমাদের দেশে প্রতিদিন সড়ক দূর্ঘটনায় অনেক মানুষ মুল্যবান প্রাণ হারাচ্ছে, কেউ পঙ্গুত্ব বরণ করছে, সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। সড়কগুলো যেন মৃত্যুর ফাঁদ। ঘনবসতিপূর্ণ এ দেশে সে তুলনায় ট্রেনে ভ্রমণ নিরাপদ, আরামদায়ক, সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ী যানবাহন হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ট্রেনের একজন নিয়মিত যাত্রী হিসেবে যাত্রীদের কল্যাণে আমার কয়েকটি প্রস্তাবনা রয়েছে যেগুলো আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে নিচে তুলে ধরছি:যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

১। প্রতিটি স্টেশনে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড থাকা দরকার। যেখানে প্লাটফর্ম নম্বর, কোচ-ক প্রথমে নাকি শেষে, ট্রেন স্টেশনে পৌঁছানোর সম্ভাব্য সময় ইত্যাদি জরুরি তথ্যাদি প্রদর্শিত হবে।

২। অনেক ট্রেনের গায়ে ট্রেনের নাম নেই! কোচের নাম নেই! (হাতে লেখা/অস্পষ্ট)। কোচের মধ্যেও কোচের নাম -ক, খ, গ.. থাকা জরুরি। সুন্দর ও আকর্ষনীয় ফন্টে নাম লেখা যেতে পারে। ডিজিটাল ডিসপ্লেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

৩। এসি কোচের মধ্যেও স্টান্ডিং টিকিটের যাত্রী যায়। অনেক ক্ষেত্রে এটেনডেন্ট ও দায়িত্বরত পুলিশ অসহায়ত্ব প্রকাশ করে। স্টান্ডিং টিকিট এর জন্য প্রতিটি ট্রেনে একটি/দুইটি কোচ নির্দিষ্ট করা যেতে পারে।

৪। নারী যাত্রীদের জন্য একটি কোচ নির্দিষ্ট করা যেতে পারে।

৫। রেলওয়ে স্টেশন ও ট্রেনে হকার, ভিক্ষুক ও হিজড়াদের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিদেশীদের নিকট আমাদের ভাবমুর্তি দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

৬। অনলাইনে প্রতিটি আসনের জন্য ২০ টাকা সার্ভিস চার্জ কর্তন করা হয়। গণমানুষের পরিবহন হিসেবে সর্বোচ্চ ৪ টি আসনের টিকিট ক্রয় করলেও সার্ভিস চার্জ ১০ টাকা করা যেতে পারে।

৭। একেক স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের উচ্চতা একেক রকম। শিশু, বৃদ্ধ, গর্ভবতী নারীর জন্য এটি কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া প্লাটফর্ম অমসৃণ, এবড়ো থেবড়ো হওয়ায় লাগেজ বহন ও যাত্রী চলাচলে বিঘ্নতার সৃষ্টি হয়। প্ল্যাটফর্ম গুলো দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন।

৮। ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছানোর পর গেটে টিকিট চেক করে! এটা হাস্যকর। বিনা টিকিটের যাত্রীরা ভিন্ন পথ দিয়ে স্টেশন হতে বের হয়ে যায়। টিকিটের যাত্রীরা এ সময় ব্যস্ত থাকে। লাগেজ বহন করে। টিকিট দেখানো তখন বিড়ম্বনা হয়ে যায়।

৯। দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যায়ক্রমে সকল রুটে ডাবল লাইন করতে হবে যাতে ক্রসিং জনিত কারনে অর্থ ও সময়ের অপচয় না হয়।

১০। সড়ক ও রেললাইনের ইন্টারসেকশনের কারনে প্রায়শ দুর্ঘটনা ঘটে। সড়কের পরিবহনগুলোর অর্থ ও সময়ের অপচয় হয়। পর্যায়ক্রমে রেললাইনগুলোর আন্ডার পাস/ওভার পাস করতে হবে।

১১। ট্রেনে খাবার সরবরাহ সহজ ও মান উন্নয়নের লক্ষ্যে কিউআর কোডনির্ভর মোবাইল অ্যাপস ডেভলপ করতে হবে। যেখানে খাবারের অর্ডার, বিল পরিশোধ, খাবারের মানের রিভিউ ইত্যাদি থাকবে।

- Advertisement -spot_img

More articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

Latest article