Monday, April 21, 2025

রেলের জায়গা-জমি বেদখল চলছেই

Must read

নীলফামারী: উত্তরের রেলের শহর নীলফামারীর সৈয়দপুর। পুরো শহর ও আশেপাশের অনেক এলাকা রেলের অধীনে।

কিন্তু এখানে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সেই জায়গা ও কোয়ার্টার দখলের প্রতিযোগিতা চলছে। এতে করে রেলের অঙ্গন সংকুচিত হয়ে আসছে। কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে দখলবাজরা।  

সম্প্রতি সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকার রেললাইনের পাশে গড়ে উঠা দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে। বারবার জায়গাগুলোতে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার পরেও পুনর্দখল নিয়ে দোকানপাট গড়ে তোলা হয়। চলে ব্যবসা-বাণিজ্য। ফলে ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।  

এবার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদের পর রেললাইন দিয়ে ব্যারিয়ার তৈরি করে দিয়েছে। তবু দখলবাজরা আবারও দখলে নেমেছে।  তারা ব্যারিয়ারের ভেতর-বাইরে গড়ে তুলছে দোকানপাট।  চলাচলকারী লাইনের ওপর লাগাচ্ছে দোকানপাট। এতে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

শহরের সাহেবপাড়া, মিস্ত্রীপাড়া, মুন্সিপাড়া, রসুলপুর, ইসলামবাগ, বাঁশবাড়ি প্রভৃতি এলাকায় রেলওয়ে কারখানার কর্মচারীদের জন্য কোয়ার্টার। সেসব কোয়ার্টার দখলে নেওয়ারও প্রতিযোগিতায় নেমেছেন এক শ্রেণির প্রভাবশালী। এসব কোয়ার্টার আবার বেচাকেনাও চলছে দেদারছে। অথচ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না স্থানীয়দের।

সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূমি ব্যবস্থাপনার কমপ্লায়েন্স নিরীক্ষা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এ শহরে রয়েছে রেলওয়ের ৮০০ একর জমি। রেলওয়ের জমি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়ে যাচ্ছে। রেলওয়ের অধিগ্রহণকৃত জমির মধ্যে ইতোমধ্যে ১৫ দশমিক ২১৮৩ একর জমি সিএস, এসএ, আরএস, বিএস জরিপের সময় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে রেকর্ডভুক্ত ও নামজারি হয়েছে। এ ছাড়া সব মিলিয়ে ৪২৭ একর জমি অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে গেছে।

যদিও জানতে চাইলে রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, যেসব জায়গায় দখল হয়েছে, এতে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হয়েছে। সেসব সম্পত্তি রক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে জনবল সংকটের অভাব রয়েছে রেলের।

- Advertisement -spot_img

More articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

Latest article