Saturday, April 19, 2025

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ১৪৩৩ মামলা, ব্যাহত হচ্ছে কার্যক্রম

Must read

ভূমি এবং নিয়োগ জটিলতাসহ নানা কারণে দায়ের হওয়া এক হাজার ৪৩৩টি মামলা পরিচালনা করছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আইন শাখা। সেগুলোর ৮০ শতাংশই ভূমিসংক্রান্ত। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৬০টি, হাইকোর্ট বিভাগে ৫৩২টি, জজ কোর্টে ৭৬৭টি, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে ৭৪টি মামলা রয়েছে। জনবল সংকটের কারণে এসব মামলার খুব কমই নিষ্পত্তি হচ্ছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে বিভিন্ন কার্যক্রম।   

জানা গেছে, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আওতাধীন ট্রেনে ক্যাটারিং সার্ভিস (খাবার সরবরাহ) পরিচালনার জন্য ২০২৩ সালে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ ও নবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়। সে সময় ৪৫টি প্রতিষ্ঠান আবেদন ফরম সংগ্রহ করেছিল। সেগুলোর মধ্যে আবেদন জমা দেয় ৪২টি প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা অফেরতযোগ্য অর্থ জমা দিয়েছিল। যাচাই-বাছাই শেষে ৩৭টিকে ক্যাটারিং সার্ভিস পরিচালনার জন্য যোগ্য বিবেচিত করে সংশ্লিষ্ট কমিটি। বাদ পড়া পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি হাইকোর্টে রিট মামলা করে। মামলাটি এখনও চলমান আছে। মামলা শেষ না হওয়ার কারণে ক্যাটারিং সার্ভিস পরিচালনায় নতুন ঠিকাদার নিয়োগে টেন্ডার আহ্বান করা যাচ্ছে না। দায়ের করা মামলাটি রেলওয়ের পক্ষে পরিচালনা করছে আইন শাখা।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা (বাণিজ্যিক) মো. মামুন মিয়া বলেন, ‘মামলার কারণে নতুন করে ক্যাটারিং সার্ভিসে নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না। মামলা শেষ হলে আমরা টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যেতে পারবো।’ 

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পূর্বাঞ্চল রেলে ১ হাজার ৪৩৩টি মামলার মধ্যে ঢাকা জজ আদালতে ২৫৪টি, নরসিংদী জজ আদালতে ৫টি, নারায়ণগঞ্জ জজ আদালতে ৫১টি, গাজীপুর জজ আদালতে ৬টি, চট্টগ্রাম জজ আদালতে ৯২টি, সাতকানিয়া জজ আদালতে ১৭টি, পটিয়া জজ আদালতে ২৭টি, নোয়াখালী জজ আদালতে ২৩টি, কুমিল্লা জজ আদালতে ৩০টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ আদালতে ৫৯টি, ফেনী জজ আদালতে ৮টি, চাঁদপুর জজ আদালতে ১৮টি, ময়মনসিংহ জজ আদালতে ৯টি, কিশোরগঞ্জ জজ আদালতে ৫টি, নেত্রকোনা জজ আদালতে ৪টি, সিলেট জজ আদালতে ৫৮টি, বাজিতপুর জজ আদালতে ৭টি, জামালপুর জজ আদালতে ৯টি, টাঙ্গাইল জজ আদালতে ১টি, সরিষাবাড়ি জজ আদালতে ২টি রয়েছে। প্রতি মাসে ৮ থেকে ১০টি মামলা দায়ের হলেও নিষ্পতি হচ্ছে মাত্র এক থেকে দুটি করে মামলা। 

মামলা কম নিষ্পত্তি হওয়া প্রসঙ্গে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আইন কর্মকর্তা মো. আল মাহমুদ বলেন, ‘রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল আইন শাখায় জনবল সংকট অনেক বেশি। এখানে দুজন আইন কর্মকর্তার মধ্যে আমি একজন। অন্যান্য পদেও জনবলের চরম সংকট। এ ছাড়াও মামলা পরিচালনায় ব্যয়ও খুবই কম। এ কারণে মামলাগুলো দীর্ঘায়িত হচ্ছে। মামলা পরিচালনার জন্য চট্টগ্রামে তিন জন এবং অন্যান্য জেলায় একজন করে আইনজীবী রয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘পূর্বাঞ্চল রেলে ১ হাজার ৪৩৩টি মামলা রয়েছে। এসব মামলা আমার দফতর থেকে আইনজীবীদের মাধ্যমে পরিচালনা করা হচ্ছে। দায়ের হওয়া মামলাগুলোর অধিকাংশই জমিসংক্রান্ত। এ ছাড়াও আছে চাকরিসহ অন্যান্য বিষয়ে মামলা।’

- Advertisement -spot_img

More articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

Latest article