Saturday, April 19, 2025

ট্রেন বন্ধ: রাজশাহী স্টেশনে ভাঙচুর যাত্রীদের

Must read

ট্রেন বন্ধ থাকায় টিটিইদের কক্ষের চেয়ার-টেবিলসহ রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে পেতে রাখা বেশকিছু চেয়ার ভাঙচুর করেন ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।

রানিং স্টাফদের কর্মবিরতিতে ট্রেন বন্ধ থাকায় রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর চালিয়েছেন ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।

মঙ্গলবার স্টেশনে আসা কয়েকশো যাত্রী ট্রেন না পেয়ে সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত বিক্ষোভ ও এই ভাঙচুর চালান বলে জানিয়েছেন রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার শহীদুল আলম।

তিনি বলেন, “ক্ষুব্ধ যাত্রীরা টিটিইদের একটি কক্ষের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। এ সময় অন্য কক্ষগুলোর দরজা তালাবদ্ধ ছিল। স্টেশনে পেতে রাখা বেশকিছু চেয়ারও ভাঙচুর করেন যাত্রীরা।

“খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা শান্ত হন। পরে টিকিটের টাকা ফেরত নিয়ে তারা বাড়ি ফেরেন।”

শহীদুল আলম বলেন, “যারা কাউন্টার থেকে টিকিট কেটেছিলেন, তাদের কাউন্টার থেকেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। আর যারা অনলাইনে টিকিট কাটেন, তাদের টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

এখন স্টেশনে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার শহীদুল বলেন, কর্মবিরতির কারণে সোমবার মধ্যরাত থেকে ট্রেন বন্ধ হয়ে গেছে। তবে সোমবার রাতে ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করা পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন ভোরে রাজশাহী এসেছে।

আর মঙ্গলবার ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজশাহী থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের ছয়টি ট্রেন ছিল। এসব ট্রেন ছেড়ে যায়নি।

এছাড়া স্টেশন ভাঙচুর ও ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবেও জানান ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার।

মাইলেজের ভিত্তিতে পেনশন ও আনুতোষিক দেওয়া, নিয়োগপত্রের দুই শর্ত প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। সোমবার মধ্যরাত থেকে তাদের কর্মবিরতি শুরু হলে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।

রেলওয়ের রানিং স্টাফ বলতে ট্রেনের চালক, সহকারী চালক, গার্ড ও টিকিট পরিদর্শকদের (টিটি) বোঝানো হয়।

রাজশাহী রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বলেন, “কেন্দ্রীয় কমিটির অংশ হিসাবে রাজশাহীতেও ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। আমাদের অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। কেন্দ্রীয় কমিটি যখন কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবে, তখন ট্রেন চলবে।”

বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মেহেদী মাসুদ বলেন, “খবর পেয়ে দ্রুত স্টেশনে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ ও সেনা সদস্যরা যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

“স্টেশনে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে ব্যাপারে তদন্ত করবে জিআরপি থানা পুলিশ।”

- Advertisement -spot_img

More articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

Latest article