বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারি ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এতে প্রার্থীরা অনেকে অসদুপায় অবলম্বন করে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাস করে সরাসরি মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পান। পরে দুর্নীতি ও ঘুস দিয়ে মৌখিক পরীক্ষায়ও উতরে যান।
রেলওয়ের সবশেষ উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। পরে সেই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হয়। দাবি ওঠে বিসিএসের মতো তিন ধাপে নিয়োগ পরীক্ষা নিতে হবে।
বিষয়টি আমলে নিয়ে অবশেষে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে রেলওয়ের নিয়োগ চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পূর্ণ কমিশন সভায় এ বিধি চূড়ান্ত করা হয়। রাত ৮টার দিকে পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পূর্ণ কমিশন সভায় অংশ নেওয়া পিএসসির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করে বলেন, রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় শুধু প্রিলিমিনারি অংশ ছিল। প্রিলিতে উত্তীর্ণরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতেন। তবে এবার আমরা প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পর লিখিত পরীক্ষা নেবো। লিখিত পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হবে, তারা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
উপসহকারী প্রকৌশল পদে বাতিল হওয়া নিয়োগ পরীক্ষা কবে নাগাদ হতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তা ছিল। তবে রমজানের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে কমিশনের সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
গত ২ ডিসেম্বর রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদের পরীক্ষা বাতিল করে পিএসসি। ওইদিন এক বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি জানায়, অধিকতর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে গৃহীত এমসিকিউ টাইপ লিখিত পরীক্ষা বাতিল করা হলো।’
গত ৫ জুলাই রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ৭ জুলাই বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে পিএসসির অধীন অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে পিএসসির কর্মকর্তারা প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়।