বিশেষ প্রতিবেদকঃ দাবি না মানলে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের কর্মীরা কঠোর কর্মসূচীর ঘোষণা দিবেন বলে জানিয়েছেন এক অনুষ্ঠানে । বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটি গঠন ও ঈদ পূন-মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টায় গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের সামান্তপুর স্বাদের রাজ্যে রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রকৌশল নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে উক্ত কমিটি ঘোষণা করা হয়, এসময় বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা নাছির উদ্দীন এর সভাপতিত্বে ও প্রধান সমন্বয়ক মিজানুর রহমান এর সঞ্চালোনায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবদুর রহিম।
কমিটি ঘোষণার পূর্বে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের কর্মচারীদের উপর নানা বৈষম্যের কথা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, ১৮৭২ সালের দাস প্রথা বিট্রিশ আইন বাতিল করতে হবে, রেশন ভাতা ৫০ টাকা বাতিল করে পূর্বের ন্যায় বাধ্যতা মূলক রেশন দিতে হবে, রেলপথ ১৪৪ ধারা জারী বিদ্যমান থাকা সত্বেও রাষ্ট্রীয় যে কোন দুর্যোগে এবং প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেলপথ রক্ষাণাবেক্ষন কাজে প্রত্যক্ষভাবে যুক্তথাকা সকল প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীগণকে ঝুঁকি ভাতা দিতে হবে। সরকার ঘোষিত ছুটি দেয়না অথচ টাকা দিলে ছুটি পাস হয় আবার টাকার বিনিময় ছুটি দিয়ে হাজিরা দেখায় বলে উপস্থিত বক্তার অভিযোগ করেন।
সরকারি গেজেটের সকল ছুটিসহ সাপ্তাহিক ০২ দিন ছুটি (শুক্র ও শনিবার) ভোগের আদেশ জারী করতে হবে অথবা উক্ত ছুটির দিন গুলির ওভারটাইম দিতে হবে, সকল সরকারী প্রতিষ্ঠানের ন্যায় প্রকৌশল বিভগের মাঠ পর্যায়ে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ০৯.০০ ঘটিকা হতে ০৫.০০ ঘটিকা পর্যন্ত কর্মঘন্টা করতে হবে (মধ্যাহ্ন বিরতিসহ) রেলওয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে বিভাগীয় প্রার্থীর বয়স ৪০ বছর করতে হবে এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুয়ায়ী বিভাগ পরিবর্তন সুযোগ দিতে হবে, ডিফেন্স সমতুল্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজ তাই পুলিশ, সেনাবাহিনীর সমতুল্য ১৭ তম গ্রেড দিতে হবে। ওয়েম্যান থেকে যেকোন পদোন্নতির ক্ষেত্রে গ্রেড পরিবর্তন করতে হবে।
রেলওয়ে দুর্ঘটনায় ম্যাকানিক্যাল বিভাগের (রিলিফ ট্রেনের কর্মকর্তা কর্মচারীর) ন্যায় প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের খাবার সহ সকল সুযোগ-সুবিধা বাধ্যতা মূলক করতে হবে।
প্রকৌশল বিভাগের সকল কর্মচারীদের প্রতি বছর (প্রখর রোদ বৃষ্টিতে পোষাকের টেম্পার নষ্ট হওয়ায়) নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম মানসম্মত) দিতে হবে যাহা সমগ্র প্রকৌশল বিভাগের পোষাকের কালার একই হতে হবে সেই সাথে উন্নতমানের সেফটি ইকুইপমেন্ট (জুতা, মোজা, রেইনকোর্ট, ছাতা, হ্যান্ড গ্লাভস্ ও টর্চ লাইট দিতে হবে।
প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু বরন করলে তাদের সন্তান থেকে যে কোন একজনকে দ্রুত সময়ের মধ্যে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুরীর ব্যবস্থা করতে হবে।
আমাদের সাথে আলোচনা করে কাজের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরী করতে হবে ইচ্ছামাফিক কাজ চাপিয়ে দেওয়া যাবেনা। যেহেতু খোলা আকাশের নিচে কাজ তাই ঝড়বৃষ্টি, উচ্চতাপমাত্রা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারী সময়কালীন জোর পূর্বক কাজ করা যাবেনা। বক্তারা আরও বলেন এ সকল দাবি পুরণ না হলে আগামী ২০ এপ্রিলের পর আমরা রাজ পথে নামতে বাধ্য হবো।