পয়লা বৈশাখের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন থেকে এই শোভাযাত্রার নাম হবে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। তাই আগামী ১৪ এপ্রিল দিবসটি উপলক্ষে শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য মেট্রোরেলের দুটি স্টেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) চারুকলা অনুষদে শোভাযাত্রা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন সাংবাদিকদের বলেন, এবার পয়লা বৈশাখ ১৪ এপ্রিল সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মেট্রোরেলের শাহবাগ ও টিএসসির স্টেশন দুটি বন্ধ থাকবে। এখানে যাত্রী উঠবে না এবং নামবে না। তবে মেট্রো ট্রেন চলাচল। আমাদের শোভাযাত্রা শেষ হয়ে গেলে গেট দুটি ওপেন হয়ে যাবে। শোভাযাত্রার নিরাপত্তা ও জনতার সমাগম নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং ইতোমধ্যে অবহিত করেছি।
শোভাযাত্রার রুট নিয়ে বলা হয়, সকালে শোভাযাত্রাটি চারুকলা ও পাবলিক লাইব্রেরির সামনে দিয়ে শুরু করে শাহবাগের গোল চত্বর ঘুরে টিএসএসিতে গিয়ে রাজু ভাস্কর্য ও ডাস ডানে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। এরপর ডান দিকে থাকবে শামসুন্নাহার হল, বাঁয়ে টিএসসি দিয়ে সামনের দিকে গিয়ে অফিসার্স টাওয়ার বাঁয়ে রেখে শহীদ মিনারের দিকে যাবে। শহীদ মিনার ডানে রেখে এনেক্স ভবন বাঁয়ে রেখে দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনে দিয়ে চারুকলায় এসে শেষ হবে।
শোভাযাত্রা চলাকালে শুধু নীলক্ষেত ও পলাশী থেকে ঢোকার পথ দুটি খোলা থাকবে। বাকি পথ ব্লক করে দেওয়া হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের তিনটি গেট ছবির হাট, রাজু ভাস্কর্যের পেছনের গেট এবং বাংলা একাডেমির সামনের গেট বন্ধ থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ পয়লা বৈশাখে উৎসবমুখর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে থাকে। এটি দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্ববহ বলে বিবেচিত হয়। প্রতিবছরের মতো এ বছরও চারুকলা অনুষদ পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আয়োজনের কাজ চলছে।
অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছরের শোভাযাত্রাটি হবে সর্ববৃহৎ, বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণ। শোভাযাত্রায় বৈচিত্র্য ও বিভিন্ন জাতিসত্তার অংশগ্রহণ থাকবে।