নিজস্ব সংবাদদাতা :
২০২১ সালের ৮ নভেম্বর প্রায় ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন ধৌতকরণ প্লান্ট বা ওয়াশপিট উদ্বোধন করা হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে এ ধরনের স্বয়ংক্রিয় ট্রেন ধৌতকরণ ব্যবস্থার পর্যাপ্ত সুবিধা ও প্রশিক্ষিত দক্ষ জনবল না থাকলেও ব্যয়বহুল এই প্লান্টটি অনেকটা প্রস্তুতিহীন অবস্থায় চালু করা হয়। এরপর প্রায় ২০ মাস ওয়াশপিটটি অনেকটা নামকাওয়াস্তে চলেছিলো। নানা জটিলতায় ২০২৪ সালের ৮ এপ্রিল এই প্লান্টটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর ম্যানুয়ালি ট্রেনগুলো ধৌতকরণ ও পরিষ্কার করা হচ্ছে ঠিকাদারের মাধ্যমে আউটসোর্সিং শ্রমিক দিয়ে। এতে বছরে অতিরিক্ত প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে।
সরেজমিনে আজ রেল নিউজের প্রতিনিধি পরিদর্শন করে মাত্র তিনজন শ্রমিককে ট্রেন পরিষ্কার করার কাজ করতে দেখতে পায়। আজ রবিবার সকালে ঢাকাগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস পরিষ্কার করার সময় দেখতে পাওয়া তিনজন কর্মীর একজন পুরুষ এবং দুইজন নারী।
বছরে দেড় কোটি টাকা খরচ করলে গড়ে প্রতিদিন প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা খরচ হয় ট্রেন পরিষ্কার করার কাজে । প্রতিদিন অর্ধলক্ষাধিক টাকা খরচ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করাচ্ছে অল্প শ্রমিক দিয়ে।
ট্রেন অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন থাকায় রেলফ্যান ও যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
রাজশাহীর ওয়াশপিটের দায়িত্বে থাকা টিএক্সআর বিভাগের সিনিয়র উপসহকারী প্রকৌশলী মো. কুরবান আলী বলেন, আমরা শ্রমিক দিয়েই ট্রেন ধোয়ার কাজ করছি। মিস্টার তারেকের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ কাজটি করা হয়। এতে বছরে প্রায় এক কোটি ত্রিশ লক্ষ টাকা খরচ হয়। অটোমেটিক ওয়াশপ্লান্ট থাকা অবস্থায় তাদের সাথে চুক্তি হয় শুধু ট্রেনের ভেতরের অংশ পরিষ্কার করার। তবে কখনো কখনো আমাদের অনুরোধে বাইরের অংশ পানি দিয়ে ধুয়ে দেয়। আর কম জনবল দিয়ে ট্রেন ধোয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, আজ আমি ছিলাম না। তবে তিনজন দিয়ে ট্রেন ধোয়া সম্ভব নয়। বারো জনে ট্রেন ওয়াশ করে। ওয়াশপিটের ভিতরেই আট নয় জন স্থায়ীভাবে থাকে। আর এ মাসেই ঠিকাদারের সাথে চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে। আগামী মাসে নতুন করে টেন্ডার আহ্ববান করা হবে। আশাকরি সমস্যার সমাধান হবে।