Tuesday, April 22, 2025

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট এর কাছেদুই ছাত্র প্রতিনিধির চাঁদা দাবী, না হয় বদলির হুমকি

Must read

বিশেষ প্রতিনিধি
ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এর কাছে চাদা দাবী করে রেলপথ মন্ত্রনালয়ের দুই ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম।
তাদের তিনজনের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড রেল নিউজের কাছে সংরক্ষিত আছে। রেকর্ড থেকে বোঝা যাচ্ছে, চট্রগ্রামের রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ এর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসার পায়তারা করছে এই দুই ছাত্র প্রতিনিধি। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত দুই লক্ষ টাকা দেয়।
এই বিষয় নিয়ে তিনজনের মধ্যে পূর্বে আলোচনা হয়েছে এটা রেল নিউজের কাছে আসা কলরেকর্ড থেকে বোঝা যাচ্ছে।
রেকর্ডটিতে শোনা যায়, মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম কথা বলছেন ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানের সাথে, আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই।
মেহেদী বলছে, এদিকে যারা ক্ষমতাশালী তারা তো টাকা পয়সা কামাইছে, বোঝেন না প্রেসার।
মিস্টার ইসলাম বলছে, আমি তো বলছি শহীদুল্লাহ শহীদ যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। এই গাদ্দারের সাথে তো গাদ্দারি করতে সমস্যা নাই। করলে করবেন কাজ। না করলে না করবেন। সে মাত্র গেছে…। এখন আবার যদি সে মনে করে ৬ মাসের মধ্যেই তার ফিরতে হবে।
ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল করীমের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?
মিস্টার ইসলাম বলছে, কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। প্রোমিজ। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারন এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই। আপনারা বলছেন।
এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে।
ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে, হ্যাঁ -হ্যালো।
মিস্টার ইসলাম বলছে, হ্যাঁ রেজাউল ভাই, কি অবস্থা? ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে একেবারে কলরেকর্ড বাজিয়ে শুনালাম না। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টসে পাঠাইছি। আমি জানাইবো, জানাইলে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।
এখন যদি কালকে যদি বলে, অবশ্যই আমি প্রেশার ক্রিয়েট করবো। আমারও তো টাকাটা দরকার।
ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে, এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলছেন সেইটাই করা হয়েছে।
এখন কিভাবে কি করবেন ?
মিস্টার ইসলাম বলছে, ভাই শোনেন, ঠিকাছে, আমি তো অস্বীকৃতি জানাইতেছি না, আপনারা চাইছেন আমরা অস্বীকৃতি জানাইতেছিনা । বাট আমার ত…।
ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে, আচ্ছা কালকে আপনি দেখা করেন। ফোনে কথা বলতে… অথবা আজকে আপনি দেখা করেন।
মিস্টার ইসলাম বলছে, আচ্ছা ঠিক আছে রেজাউল ভাই।

এ ব্যাপারে কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম রেল নিউজকে বলেন, হ্যা ফাঁস হওয়া এই কলরেকর্ডটি আমাদের।
কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে আমাকে ডেকে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল। আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।
আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি। এবং অফিসিয়াল হোয়াটসএপ গ্রুপে দেই। আজ ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

- Advertisement -spot_img

More articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

Latest article