Wednesday, October 22, 2025

“রেলপথ উপদেষ্টার রোজনামচা: প্রশাসনিক বাস্তবতা, জনআস্থা ও ‘সেফ এক্সিট’-এর প্রশ্ন”

Must read

মনিরুজ্জামান মনির

এক ফেসবুক পোস্ট, বহু প্রতিচ্ছবিঃ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন কেবল ব্যক্তিগত যোগাযোগের নয়—রাষ্ট্র পরিচালনারও এক অনানুষ্ঠানিক প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে থাকা কোনো উপদেষ্টা যখন প্রশাসনিক সফর, নির্দেশনা, ও নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, তখন সেটি সাধারণ পোস্ট নয়— বরং রাষ্ট্রীয় জবাবদিহি ও ব্যক্তিগত প্রচারের সীমারেখা ভেঙে ফেলা এক দৃষ্টান্ত।

সম্প্রতি রেলপথ উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান তার ফেসবুক ওয়ালে “উপদেষ্টার রোজনামচা” শিরোনামে একটি লেখা প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি ভৈরব থেকে সরাইল পর্যন্ত এক দিনের সফরের বিবরণ দেন।
লেখাটিতে তিনি যাত্রীদের সঙ্গে কথোপকথন, আশুগঞ্জ স্টেশনের বেহাল অবস্থা, মোটরসাইকেলে হেলমেট খুঁজে না পাওয়া, এবং সাংবাদিকদের করা “সেফ এক্সিট” প্রশ্ন পর্যন্ত খোলামেলা বর্ণনা দেন।

এই লেখাটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। সরকারি দপ্তরের বাইরে, জনগণ এবং সংবাদমাধ্যমে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দেয়—

  • রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন কি ফেসবুকে ব্যাখ্যা করা উচিত?
  • একজন উপদেষ্টা কি প্রশাসনিক ব্যর্থতার দায় থেকে মুক্ত থাকতে পারেন কেবল “নিজের সততার ঘোষণা” দিয়ে?
  • এবং, “সেফ এক্সিট” শব্দটি— তা কি নৈতিক পরিণতির স্বীকারোক্তি, না আত্মরক্ষার প্রস্তাব?

এই প্রশ্নগুলোই আজকের আলোচনার মূল কেন্দ্র।

ফেসবুকে সরকারি বার্তা: নৈতিক সীমারেখার ভাঙনঃ

প্রথমেই বলা দরকার— ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রাষ্ট্রীয় তথ্য প্রচারের সরকারি মাধ্যম নয়।
রাষ্ট্রের নীতি, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, বা প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে তথ্য প্রচার হয় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মাধ্যমে— প্রেস বিজ্ঞপ্তি, সরকারি ওয়েবসাইট, কিংবা সংবাদ সম্মেলনের দ্বারা।

কিন্তু রেলপথ উপদেষ্টা যখন নিজের সফর, নির্দেশ, এমনকি প্রশাসনিক পর্যবেক্ষণ—সবকিছু নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে প্রকাশ করেন, তখন সেটি কেবল আত্মবিবরণ নয়; বরং একটি অপ্রাতিষ্ঠানিক শাসনপদ্ধতির প্রতিফলন।

এটি দুটি বড় প্রশ্ন তোলে—
১. প্রশাসনিক তথ্যের বৈধতা: ফেসবুকের পোস্ট কি সরকারি নথি? যদি না হয়, তবে তার নির্দেশের আইনি মর্যাদা কী?
২. প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহি: জনগণের কাছে প্রশাসনিক জবাব কি “পাবলিক ডকুমেন্ট”-এর মাধ্যমে আসবে, না “ফেসবুক পোস্ট”-এর ভাষায়?

এই প্রবণতা কেবল রেলপথ উপদেষ্টার নয়— বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা একইভাবে ব্যক্তিগত মাধ্যমকে সরকারি যোগাযোগের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করছেন। এর ফলে রাষ্ট্রের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দুর্বল ও ব্যক্তি-নির্ভর হয়ে পড়ছে।

“চালকের হেলমেট নাই”— প্রশাসনের প্রতিচ্ছবিঃ

উপদেষ্টার পোস্টে সবচেয়ে আলোচিত অংশটি ছিল:

“আট-দশটা মোটরবাইক খুঁজে একটিমাত্র হেলমেট পাওয়া গেল।”

এটি নিছক এক দিনের ঘটনাবিবরণ নয়; এটি সড়কব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতার প্রতীক।
যখন একজন উপদেষ্টা, পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রশাসনের উপস্থিতিতেও নিরাপত্তা আইন মানা হয় না, তখন সেটা একক চালকের দোষ নয়— সেটি সমগ্র তদারকি ব্যবস্থার পতন।

বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর প্রায় ৫ হাজার মানুষ নিহত হন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের দুর্বলতা ও পুলিশের অনিয়মই প্রধান কারণ।
উপদেষ্টা নিজে হেলমেট পরলেও তার চালককে হেলমেট ছাড়া চালাতে দিয়েছেন— এটি শুধু “অবস্থা বর্ণনা” নয়, বরং নৈতিক প্রশ্নও তুলে।

রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা মানার শুরু হয় শীর্ষপর্যায়ের উদাহরণ থেকে।
যদি প্রশাসন নিজের নিরাপত্তা নিয়মও মানতে না পারে, তাহলে সাধারণ মানুষ কীভাবে মানবে?

আশুগঞ্জ স্টেশনের বেহাল অবস্থাঃ প্রশাসনিক জবাব কোথায়?

রোজনামচায় উপদেষ্টা লিখেছেন, “আশুগঞ্জ স্টেশনকে পূর্বের ন্যায় বি-শ্রেণিতে ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছে স্থানীয়রা।”
তিনি বলেছেন, “রেলের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছি।”

প্রশ্ন হলো— নির্দেশই যদি সব হয়, তাহলে জনগণের সমস্যা এত বছরেও সমাধান হলো না কেন?
আশুগঞ্জ কেবল একটি স্টেশন নয়— এটি দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চল, যেখানে প্রতিদিন হাজারো যাত্রী ও পণ্য চলাচল করে।
কিন্তু স্টেশনের অবস্থা এমন যে, নারী, শিশু, বৃদ্ধ কেউই নিরাপদে উঠতে পারেন না।

এই সমস্যার মূল কারণ হলো— রেলওয়ে প্রশাসনের ধারাবাহিক অব্যবস্থাপনা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ।
মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়ে দায় শেষ হয় না।
যে কর্মকর্তা বা বিভাগ দায়িত্বে অবহেলা করেছে, তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে, রেলওয়ের অনেক সিদ্ধান্তই “উপর থেকে নির্দেশ” আকারে আসে, কিন্তু নিচে কার্যকর হয় না।
এই প্রশাসনিক স্থবিরতাই আজ রেলপথকে জনগণের আস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে।

সরাইল চৌরাস্তা ও যানজটঃ শৃঙ্খলা না তদারকির অভাব?

উপদেষ্টা তাঁর সফরে উল্লেখ করেছেন— “যানজটের কারণ ঠিকাদারের অনুপস্থিতি নয়, চালকদের শৃঙ্খলার অভাব।”
কিন্তু এ যুক্তি একপেশে।

সরাইল চৌরাস্তা প্রকল্পটি ভারতীয় ঋণে বাস্তবায়িত। দীর্ঘদিন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চলে যাওয়ায় কাজ বন্ধ ছিল। পুনরায় কাজ শুরু হলেও রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, ডিভাইডার ভাঙা, এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতায় যাত্রীদের দুর্ভোগ কমেনি।

এই পরিস্থিতিতে চালকদের ওপর দায় চাপানো প্রশাসনিক দায়িত্ব এড়ানোর কৌশল ছাড়া কিছু নয়।
একটি রাষ্ট্রীয় প্রকল্পে কাজের গতি, ঠিকাদার তদারকি, এবং বিকল্প যোগাযোগব্যবস্থা নিশ্চিত করা— এগুলো প্রশাসনের দায়িত্ব।

উপদেষ্টা বলেছেন, “হাইওয়ে পুলিশ তৎপর থাকলে এটা হত না।”
ঠিকই বলেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো— তদারকি না থাকার দায় কার? হাইওয়ে পুলিশের অধীনেই তো তিনি সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন!

রেলপথে অদৃশ্য সংকট: আস্থাহীন প্রশাসনঃ

রেলওয়ে বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থার মেরুদণ্ড হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু এখন সেটি আমলাতন্ত্রের গোলকধাঁধায় হারিয়ে গেছে।
বিগত দুই দশকে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার রেল প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও, বাস্তব ফলাফল আশানুরূপ নয়।
ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা, টিকিটিং ব্যবস্থার অরাজকতা, জমি দখল, ও রেলওয়ে কলোনির অনিয়ম— সবকিছু মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটি “ক্ষতবিক্ষত”।

এই প্রেক্ষাপটে একজন রেলপথ উপদেষ্টার দায়িত্ব শুধু সফর নয়; কাঠামোগত সংস্কারের পথ তৈরি করা।
কিন্তু তার ফেসবুক পোস্টে সংস্কারের দিকনির্দেশনা নয়, বরং দৈনন্দিন কার্যক্রমের বর্ণনা বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।

প্রশ্ন হলো, কেন এখনো পর্যন্ত রেলওয়ের ডিজিটাল টিকিটিং সিস্টেম, জমি ব্যবস্থাপনা ও নিরীক্ষা ইউনিট কার্যকর করা যাচ্ছে না?
কেন মহাপরিচালক বা প্রকৌশলীরা প্রশাসনিক জবাবদিহির বাইরে থাকছেন?

জনগণ চায় সমাধান— সফরবৃত্তান্ত নয়।

“সেফ এক্সিট” বিতর্ক: দায়বদ্ধতার পালাবদলঃ

উপদেষ্টার পোস্টের শেষে সবচেয়ে আলোচিত অংশ ছিল সাংবাদিকের প্রশ্ন—

“উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিট বিষয়ে আপনার মতামত কী?”

তিনি উত্তর দিয়েছেন—

“আমি রাজনৈতিক বিষয়ে মন্তব্য করি না। নাহিদ ইসলাম আমার স্নেহভাজন; তাঁর বক্তব্যে মন্তব্য করা শোভন নয়।”

এ বক্তব্যে শালীনতা থাকলেও, প্রশাসনিক দায়বদ্ধতার প্রশ্ন এড়ানো যায় না।
“সেফ এক্সিট” মানে হলো— দায়িত্ব শেষে নিরাপদ প্রস্থান, কোনো জবাবদিহি ছাড়াই।
এ ধারণা বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন নয়। ২০০৭ সালের ১/১১ সরকারও একই পথ নিয়েছিল— যেখানে উপদেষ্টারা পরবর্তীতে “জনআস্থার অভাব” দেখিয়ে নীরবে প্রস্থান করেছিলেন।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যদি সেই ইতিহাস পুনরাবৃত্তি করে, তাহলে রাষ্ট্রীয় আস্থার সংকট আরও গভীর হবে।
জনগণ চায়— উপদেষ্টারা নিজেদের কর্মফল, সাফল্য ও ব্যর্থতা—সবকিছুর জবাব প্রকাশ্যে দিন।
“রাজনৈতিক মন্তব্য করিনা” বলে দায় এড়িয়ে গেলে সেটা দায়িত্বশীলতার ঘাটতি।

“আমি আত্মীয়স্বজনকে চাকরি দিই নাই”— কিন্তু রাষ্ট্রের নৈতিকতা?

উপদেষ্টা তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন—

“নিজে পদে থেকে কোনো অন্যায় সুবিধা গ্রহণ করিনি। আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব কাউকে চাকরি বা ব্যবসা দিই নাই।”

এই বক্তব্যে ব্যক্তিগত সততার প্রতিফলন আছে, কিন্তু রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা থেকে মুক্তি নেই।
রাষ্ট্রযন্ত্রের দুর্বলতা, অকার্যকর প্রশাসন, এবং নীতিনির্ধারণে অব্যবস্থাপনা— এগুলো কেবল ব্যক্তিগত সততা দিয়ে ঢাকা যায় না।

যে সময়ে রেলওয়ের জমি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যেখানে নির্দিষ্ট প্রভাবশালী গোষ্ঠী দখল করছে সরকারি সম্পদ— সেখানে একজন উপদেষ্টার নীরবতা বা “আমি কিছু খাইনি” ঘোষণা জনগণের আস্থা ফেরাতে যথেষ্ট নয়।

রাষ্ট্রের শুদ্ধি আসে নীতি থেকে, ব্যক্তিগত আত্মপক্ষ সমর্থন থেকে নয়।

৭২ বছর বয়সের যুক্তি নয়, দায়িত্বের আত্মসমালোচনা প্রয়োজনঃ

উপদেষ্টা লিখেছেন—

“৭২+ বছর বয়সে আমাকে যদি সেফ এক্সিট ভাবতে হয়, তা হবে গভীর দুঃখের বিষয়।”

অবশ্যই বয়স কোনো প্রতিবন্ধক নয়। কিন্তু রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে থাকলে বয়স নয়, কর্মফলই জনগণের মাপকাঠি।
বয়সের যুক্তি দিয়ে দায় এড়ানো যায় না।
৭২ বছর বয়সে অনেক নেতা দেশ চালিয়েছেন, কিন্তু তাঁরা তাদের প্রশাসনিক কর্মদক্ষতায় ইতিহাসে স্থান পেয়েছেন।

জনগণ প্রশ্ন করছে—
৭২ বছর বয়সের অভিজ্ঞতা কোথায় কাজে লাগল?
রেলওয়ের ভেতরের দুর্নীতি ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে কি কোনো উদাহরণমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?
নাকি ফেসবুকে সফরবৃত্তান্তই হয়ে উঠেছে প্রশাসনিক কার্যক্রমের বিকল্প?

রাষ্ট্র, দায়বদ্ধতা ও ভবিষ্যৎ আস্থাঃ

বাংলাদেশের ইতিহাস প্রমাণ করে— ক্ষমতার সবথেকে বড় সংকট হয় “বিশ্বাস হারানো”।
১৯৭৫, ১৯৮২, ২০০৭— প্রতিবারই জনগণের আস্থা হারিয়ে প্রশাসনিক শক্তি ভেঙে পড়েছে।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জও তাই— জনআস্থা পুনর্গঠন।
এই আস্থা আসবে তখনই, যখন উপদেষ্টারা জনগণের কাছে প্রতিদিনের সফর নয়, কার্যকর সিদ্ধান্ত ও ফলাফল উপস্থাপন করবেন।

ফেসবুক পোস্ট নয়— দরকার প্রতিষ্ঠানিক রিপোর্ট, স্বচ্ছতা, ও দৃশ্যমান পরিবর্তন।
যদি সরকার মনে করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমই জবাবদিহির মঞ্চ, তবে এটি এক বিপজ্জনক ধারা— যা প্রশাসনকে বিনোদনমূলক সংলাপে পরিণত করবে।

আত্মজিজ্ঞাসা না আত্মরক্ষা?

রেলপথ উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান হয়তো সত্যিই নিষ্ঠাবান, কর্মঠ ও দেশপ্রেমিক।
কিন্তু প্রশাসনিক ইতিহাসে তাঁকে মনে রাখা হবে কেবল তাঁর কর্মদক্ষতা দিয়ে— ফেসবুক রোজনামচা দিয়ে নয়।

বাংলাদেশ আজ এক সন্ধিক্ষণে— যেখানে রাষ্ট্রের প্রতিটি পদক্ষেপ জনআস্থার পরীক্ষায় পড়ছে।
উপদেষ্টাদের দায়িত্ব শুধু প্রশাসনিক নির্দেশ নয়, নৈতিক নেতৃত্ব প্রদর্শন।
তাঁরা যদি সত্যিকার অর্থে জনতার আস্থা পুনরুদ্ধার করতে চান, তবে প্রয়োজন কথার নয়— কর্মের জবাবদিহি।

“সেফ এক্সিট” নয়— জনগণ চায় সত্যিকারের দায়িত্বের উত্তরাধিকার।

লেখকঃ সাংবাদিক ও কলামিস্ট

- Advertisement -spot_img

More articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

Latest article