স্টাফ রিপোর্টার :
রাজশাহীর আমনুরা রেলওয়ে সেকশনে দায়িত্ব পালনরত ওয়েম্যান আবদুল করিমকে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (RNB) কর্তৃক লাঞ্ছিত করে হাতকড়া পরিয়ে লকআপে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগ কর্মচারী এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটি।
সূত্র জানায়, এসএসএই/ওয়ে আমনুরার নির্দেশনা অনুযায়ী মালামাল নিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন আবদুল করিম। এ সময় RNB সদস্যদের কয়েকজন তাকে মালামাল চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত করে মৌখিকভাবে হেনস্থা করে। পরবর্তীতে বিষয়টি সেকশনের উপ-প্রকৌশলীকে জানানো হলে, তিনি ঘটনাটি নির্বাহী ও বিভাগীয় প্রকৌশলীকে অবহিত করেন। তবুও নির্দেশনা উপেক্ষা করে RNB সদস্যরা আবদুল করিমকে হাতকড়া পরিয়ে লকআপে ঢুকিয়ে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ ঘটনায় রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগ কর্মচারী এসোসিয়েশন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, “একজন সরকারি কর্মচারীকে এভাবে অপমান করা ঘৃণিত ও নিন্দনীয় কাজ। একই দপ্তরের সহকর্মীদের দ্বারা কর্মচারী হেনস্তার ঘটনা রেলওয়ের জন্য কলঙ্কজনক।”
তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে যদি বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তবে কেন্দ্রীয় কমিটি কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।”
সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে—
অভিযুক্ত RNB সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় শাস্তি প্রদান করতে হবে।
লাঞ্ছিত কর্মচারীর মানহানি প্রতিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
রেলওয়ে কর্মস্থলে নিরাপদ ও সম্মানজনক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
ঘটনাটি নিয়ে রেলওয়ে কর্মকর্তারা তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট RNB সদস্যদের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগ কর্মচারী এসোসিয়েশন জানিয়েছে, এ ধরনের আচরণ প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মচারীর প্রতি গ্রহণযোগ্য নয়। যদি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তবে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঘটনায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করে সংগঠনের অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন—
“একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীকে এভাবে অমানবিকভাবে লাঞ্ছিত করা অত্যন্ত নিন্দনীয়। রেলওয়ে একটি শৃঙ্খলাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের এ ধরনের আচরণ রেলওয়ের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করছে।”তিনি আরও বলেন—
“আমরা বারবার বলেছি, মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্টাফদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একই দপ্তরের লোকজনের হাতেই কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।”