স্টাফ রিপোর্টার :
ময়মনসিংহ জেলা সদর থেকে নেত্রকোনার জারিয়া রুটে প্রায় এক মাস ধরে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। ট্রেনটি দ্রুত চালুর দাবিতে গতকাল সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ময়মনসিংহ-জারিয়া রুটে কোনো আন্তঃনগর ট্রেন নেই। একমাত্র লোকাল ট্রেনটিই ছিল এই অঞ্চলের মানুষের স্বল্প খরচে ও নিরাপদে চলাচলের প্রধান ভরসা। কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ ট্রেনটি বন্ধ করে দেওয়ায় হাজারো যাত্রী সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।বক্তারা বলেন, জারিয়া অঞ্চল থেকে ময়মনসিংহ শহরে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী বিভিন্ন স্কুল-কলেজে নিয়মিত যাতায়াত করে। ট্রেন বন্ধ থাকায় তাদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে, জারিয়াকে কেন্দ্র করে পূর্বধলা, দুর্গাপুর, কলমাকান্দা উপজেলার ব্যবসায়ীরাও এই রুটের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন। ট্রেন বন্ধ হওয়ায় তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যও স্থবির হয়ে পড়েছে এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সাধারণ যাত্রীরা জানান, ট্রেন বন্ধ থাকায় বিকল্প পথে যাতায়াত করতে গুনতে হচ্ছে ৮ থেকে ১০ গুণ অতিরিক্ত ভাড়া। এতে তাদের দৈনন্দিন জীবনে বাড়তি খরচের বোঝা চেপেছে। এ ছাড়া দীর্ঘ সড়ক পথে যাতায়াত করতে গিয়ে নানা ধরনের বিড়ম্বনা ও ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
মানববন্ধনে উপস্থিত লোকজন দ্রুত ময়মনসিংহ থেকে জারিয়াগামী লোকাল ট্রেনটি নিয়মিত চলাচলের জোর দাবি জানান। তারা বলেন, মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে রেল কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া আবশ্যক। অবিলম্বে এই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক দেখতে চান তারা।মানববন্ধন শেষে ময়মনসিংহ রেলস্টেশনের সুপারের কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। রেলওয়ের উপসচিব বরাবর পাঠানো স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ময়মনসিংহ থেকে জারিয়াগামী লোকাল ট্রেনটি এক মাস ধরে বন্ধ থাকায় অসুবিধা হচ্ছে যাত্রীদের। জারিয়া থেকে ময়মনসিংহে যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষ প্রতিদিনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। ময়মনসিংহ-জারিয়া রুটে ট্রেনটি চালুর জন্য তাঁর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ময়মনসিংহ-জারিয়া রুটে লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগ হচ্ছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ হিসেবে জনগণের এই কষ্টকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তারা। যাত্রীদের দাবি ও জনদুর্ভোগের বিষয়টি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উচ্চ পর্যায়ে জানানো হবে।