বিশেষ প্রতিনিধি :
রেলওয়ে সেক্টরের অনেকগুলো দুর্নীতির খাত ধরে তদন্তে নেমেছে বর্তমান দুর্নীতি দমন কমিশন। ইতিমধ্যে তারা দুইটি মামলা করছে। ওয়াশিং প্ল্যান্ট দুর্নীতিতে তৃতীয় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন। আর এতেই ফেঁসে যাচ্ছেন ফকির মো. মহিউদ্দিন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন উপসচিব মাহাবুবুল হক এবং সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি রোলিং স্টক) সৈয়দ ফারুক আহমেদসহ আরো কয়েকজন ফাঁসতে পারে এই মামলায়। ওয়াশিং প্ল্যান্ট দুটির যন্ত্রপাতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা হয়েছিল। এই যন্ত্রের কার্যকারিতা দেখতে ২০১৯ সালে এই তিনজন কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। ওয়াশিং প্ল্যান্ট দুর্নীতি রেলওয়ে সেক্টরের একটি আলোচিত দুর্নীতি।
বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেন ধোয়ার জন্য প্রায় ৪০ কোটি টাকায় দুটি স্বয়ংক্রিয় ধৌতকরণ ব্যবস্থা বা ওয়াশিং প্ল্যান্ট কিনেছিল। একটি স্থাপন করা হয় ঢাকার কমলাপুরে, অন্যটি রাজশাহীতে। ২০ মাসের মাথায় প্ল্যান্ট দুটি বন্ধ হয়ে যায়।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, দুটি প্ল্যান্ট দিয়ে ২ হাজার ৯২৯ বার ট্রেন ধোয়া সম্ভব হয়েছিল। হিসাব করে দেখা যায়, প্ল্যান্ট দুটি স্থাপনে যে ব্যয় হয়েছে, তাতে প্রতিটি ট্রেন ধোয়ার পেছনে সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। প্রচলিত ব্যবস্থায় হাতে ট্রেন ধুতে খরচ হয় ১ হাজার টাকার মতো।
চট্টগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী দুই মেয়াদে রেলপথ মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। ওয়াশিং প্ল্যান্ট সরবরাহে যুক্ত প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ প্রতিনিধির পক্ষে ফজলে করিম কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফজলে করিম চৌধুরী এখন কারাগারে।
এই প্রকল্পের দুর্নীতিতে যার নামটি উঠে আসে সেই ফকির মোঃ আলমগীর রেলওয়েতে বৈষম্যবিরোধী ফোরাম প্রতিষ্ঠা করে এর মুখ্য সমন্বয়ক হয়েছেন। তিনি এখন ২০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন ও ১৫০টি মিটারগেজ কোচ কেনার প্রকল্পের পরিচালক। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা।

