স্টাফ রিপোর্টার:
কমলাপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মজুড়ে যখন নেমে আসে দিনের ক্লান্তি, তখনই কিছু ক্ষুধার্ত মুখে ফুটে ওঠে এক চিলতে হাসি। আর সেই হাসির পেছনে কাজ করেছে একদল স্বেচ্ছাসেবী মানুষ—হোপ অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ।
মানবিক সংগঠনটি সম্প্রতি স্টেশনে থাকা পরিবারহীন ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেছে। রাস্তায় দিন কাটানো এসব শিশুদের হাতে খাবার তুলে দিয়ে তারা ছড়িয়ে দিয়েছে ভালোবাসা ও মানবতার উষ্ণতা।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মো. কামরুল হাসান মেহেদি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফাহমিদা সুলতানা লিমা, সাধারণ সম্পাদক হান্নান হোসেন নিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমা আফরিন নদী, সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব আহামেদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাসুদ মাহাতাব, সদস্য মাহবুবসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকরা।
সহযোগিতায় ছিলেন স্টেশনের স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
সভাপতি মো. কামরুল হাসান মেহেদি বলেন—
“আজ যাদের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি, ওরাই আমাদের শক্তি। তারা হাসলে আমাদের পথচলা সফল। মানুষ হয়ে যদি মানুষের কষ্ট না বুঝি, তাহলে বেঁচে থাকার মানে কী? আমরা চাই এই স্টেশনের শিশুরা একদিন নিজেরাও অন্যের পাশে দাঁড়াক।”
স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা প্রশংসা জানিয়ে বলেন—
“হোপ অ্যালায়েন্সের এই উদ্যোগ রেলস্টেশনের বাস্তবতাকে বদলে দিতে পারে। আমরা চাই, তারা আরও এগিয়ে যাক।”
খাবারের প্রতিটি থালায় ছিল শুধু পুষ্টি নয়, ছিল “ভালোবাসা” নামের এক অদৃশ্য উপাদান, যা শিশুদের মুখে হাসি এনে দিয়েছে নিঃশব্দে।
হোপ অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ বিশ্বাস করে—
“একটি খাবারও একটি জীবন বদলে দিতে পারে।”
মানবতার এই পথে সংগঠনটি এগিয়ে চলছে সকল প্রতিকূলতা পেরিয়ে, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার নিয়ে।
কারণ—মানুষের প্রতি ভালোবাসাই মানবতার সবচেয়ে শক্তিশালী ভাষা।

