বিশেষ প্রতিনিধি :
রেলওয়ের মেগা প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অনুসন্ধানে সাবেক মহাপরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেনকে ঘিরে তদন্তের জাল আরও ঘন করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ রয়েছে, তাঁর সময়েই তমা কনস্ট্রাকশন ও ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একাধিক বড় প্রকল্পে প্রভাব বিস্তার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে।
দুদক ইতোমধ্যে সাবেক মহাপরিচালকের নামে নোটিশ জারি করেছে। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, তিনি আগামী ১০ নভেম্বর সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে দুদকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রকল্পসংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করবেন।সূত্র জানায়, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘কালুখালী–ভাটিয়াপাড়াঘাট’ ও ‘কাশিয়ানি–গোপালগঞ্জ–টুঙ্গিপাড়া নতুন রেলপথ নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় বিভিন্ন অনিয়ম, ভুয়া এলসি খোলা ও বিদেশে টাকা পাচারের ঘটনা ঘটে। এসব অভিযোগের বেশ কিছু অংশ তখনকার মহাপরিচালক হিসেবে আমজাদ হোসেনের প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানের মধ্যেই ঘটে বলে দুদক মনে করছে।
দুদকের চার সদস্যের অনুসন্ধান টিমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সহকারী পরিচালক মোঃ আশিকুর রহমান। টিমে আছেন সহকারী পরিচালক আল-আমিন ও উপসহকারী পরিচালক সাবিকুন নাহারসহ অন্যান্য সদস্য।
দুদক সূত্রের দাবি, তদন্তে এ পর্যন্ত যে সব নথি ও তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে প্রকল্পের অর্থনৈতিক অনিয়ম ও প্রভাবশালী ঠিকাদার গোষ্ঠীর সিন্ডিকেটের সংযোগ স্পষ্ট। সাবেক মহাপরিচালকের বক্তব্য গ্রহণের পর অনুসন্ধান কার্যক্রমে নতুন মোড় আসতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।একাধিক সূত্র বলছে, আওয়ামী সরকারের সময়ে তমা ও ম্যাক্স গ্রুপ রেলওয়ের অন্তত ৩০ হাজার কোটি টাকার কাজ পেয়েছিল। প্রকল্পগুলোর ব্যয় দফায় দফায় বাড়িয়ে আত্মসাৎ হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতেই দুদক এখন রেলওয়ের সাবেক সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে।

