আন্তর্জাতিক :
পাকিস্তানের বালোচিস্তানে আবারও নিশানায় জাফর এক্সপ্রেস। রবিবার (১৬ নভেম্বর) নাসিরাবাদের কাছে যাত্রীবাহী ট্রেনটিকে লক্ষ্য করে পরপর রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকী বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে রেললাইনও। হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে রকেট লঞ্চার।
পাকিস্তান পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার সময় কোয়েটা প্রদেশ থেকে পেশোয়ারের দিকে যাচ্ছিল ট্রেনটি। জানা গিয়েছে, নাসিরাবাদের শহিদ আব্দুল আজিজ বুল্লো এলাকা দিয়ে ট্রেনটি যাওয়ার সময়েই বিস্ফোরণটি হয়। তবে ঠিক সময়ে বিস্ফোরণ না হওয়ায় ট্রেনটি বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে। কিন্তু তারপরেও ট্রেনটিকে লক্ষ্য করে পরপর তিন-চারটি রকেট ছোড়ে হামলাকারীরা। কিন্তু সেই নিশানাও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। সুতরাং একই দিনে দুই দুই বার হামলার থেকে রক্ষা পায় জাফর এক্সপ্রেস।এই প্রসঙ্গে নাসিরাবাদের SSP গুলাম সারওয়ার জানিয়েছেন, জাফর এক্সপ্রেসে হামলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় নিরাপত্তাবাহিনী। পুরো এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। যদিও হামলাকারীদের কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। কিন্তু হামলাকারীরা জাফর এক্সপ্রেসকে নিশানা করেছিল। কিন্তু সেই নিশানা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে বড়সড় হামলা থেকে বাঁচে জাফর এক্সপ্রেস। যার ফলে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে রেললাইনের কিছু অংশ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেল কর্মকর্তারা। পাশাপাশি কোয়েটার সঙ্গে দেশের অন্য প্রান্তের রেল যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়েছিল। এবং নিরাপদে জেকোবাবাদে পৌঁছেছে জাফর এক্সপ্রেস। তবে এখন স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে ট্রেন পরিষেবা।এই হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনও সংগঠন। তবে পাকিস্তানে জাফর এক্সপ্রেসে হামলা চালানোর ঘটনা প্রথম নয়। এর আগে অক্টোবর মাসে জাফর এক্সপ্রেসে হামলা চালিয়েছিলেন বালোচ বিদ্রোহীরা। রেললাইনে বিস্ফোরণের ফলে ট্রেনের বেশ কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছিল। গত মার্চেও জাফর এক্সপ্রেস অপহরণ করে যাত্রীদের জিম্মি করেছিলেন সশস্ত্র বালোচ বিদ্রোহীরা। বন্দিদের মুক্ত করতে সেনা নামাতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। যেখানে পাকিস্তানের মোট ২৬ জন সেনার মৃত্যু হয়েছিল। সেনার পাল্টা অভিযানে ৩৩ জন বালোচ বিদ্রোহীর মৃত্যু হয়। শেষে ৩৫৪ জন বন্দি-সহ ট্রেনটিকে উদ্ধার করেছিল সেনা।

