রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। একই সময়ে রেলওয়ে আয় করেছে ১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরে আয়ের চেয়ে ১ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা বেশি ব্যয় করেছে রেলওয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম সংসদে দাবি করেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপি, জামায়াত ও তাদের দোসররা অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে রেলে আগুন দিয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এতে রেলওয়ের আনুমানিক আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৯ কোটি ২৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩০৪ টাকা।
সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত রেলওয়ের ৯৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। গত এক যুগে দেশে ৯৪৭ দশমিক ৯৯ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ, ৩৪০ দশমিক ১৭ কিলোমিটার মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর, ১৩৯১ দশমিক ৩২ কিলোমিটার রেললাইন সংস্কার/পুনর্নির্মাণ, ১৪৮টি নতুন স্টেশন ভবন নির্মাণ, ২৩৮টি স্টেশন ভবন সংস্কার/পুনর্নির্মাণ, ১০৬২টি নতুন রেলসেতু নির্মাণ, ৭৯৪টি রেলসেতু সংস্কার/পুনর্নির্মাণ ও ১৩৭টি স্টেশনে সিগন্যালিং ব্যবস্থার উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে।
বেসরকারি বস্ত্রকল ৯০০টি
আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, স্থানীয় বাজারে বছরে বস্ত্রের চাহিদা প্রায় ৭ মিলিয়ন মিটার; যার পুরোটাই দেশে উৎপাদিত হয়। তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে ওভেন (শার্ট-প্যান্ট-জ্যাকেটের কাপড়) আর ডেনিম (জিনস কাপড়) বস্ত্রের চাহিদা ৮ বিলিয়ন মিটার। এর মধ্যে ৪ বিলিয়ন মিটার দেশে উৎপাদিত হয়। ৪ বিলিয়ন মিটার আমদানি করা হয়।
মন্ত্রী জানান, বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন ২৫টি বস্ত্রকলের মধ্যে ১৬টি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) আওতায় পরিচালনার জন্য নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুটির চুক্তি হয়েছে। দুটির চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে দেশে ৯০০টি বেসরকারি বস্ত্রকল রয়েছে।
নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক জানান, দেশে বেসরকারি বস্ত্র খাতে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। দেশে তাঁতবস্ত্রশিল্পে ১৫ লাখ তাঁতশিল্পী নিয়োজিত। এর মধ্যে প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত প্রায় ৯ লাখ ও পরোক্ষভাবে ৬ লাখ।
সূত্রঃ প্রথম আলো