বৃহস্পতিবার (২ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সাইফুল হক এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, অসহনীয় ও লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে যখন দেশের সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে, সেসময় রেলের ভাড়া বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষের জীবনে নতুন দুর্ভোগ নিয়ে আসবে। এটা হবে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মতো।
তিনি আরও বলেন, এই পর্যন্ত রেলযাত্রায় প্রতি ১০০ কিলোমিটারের অধিক ভ্রমণে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ রেয়াত (ছাড়) দেওয়া হতো। এ রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহার করায় প্রধান ১৫টি রুটে সুলভ, শোভন, শোভন চেয়ারে রেল ভাড়া ২০ শতাংশ ও প্রথম শ্রেণীতে ৩০ শতাংশ বাড়বে। যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, এর ফলে রাজস্ব আয় ৩০০ কোটি টাকা বাড়বে।
বিবৃতিতে সাইফুল হক বলেন, রেলের মেগা প্রকল্পগুলোতে শত-শত এবং হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি হচ্ছে, সেখানে মাত্র ৩০০ কোটি টাকার জন্য দেশের সাধারণ মানুষের উপর বাড়তি ভাড়া চাপানোর কোনো যুক্তি নেই। লোকসানের এই যুক্তি দেখিয়ে এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এরপরেও রেলে লোকসান কমেনি। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত রেলের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ঋণের ৭২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও লোকসান কমেনি।
তিনি বলেন, চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট, অপচয় ও অব্যবস্থাপনার কারণেই রেল লোকসানি খাত। অপতৎপরতার দায় মানুষ কেন নেবে? গোটা রেল ব্যবস্থাপনায় যেসব কালো বিড়াল ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া রেলের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন হবে না।