কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় মেট্রোরেলের কয়েকটি স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বন্ধ হয়ে যায় মেট্রোরেল চলাচল। তবে কবে নাগাদ মেট্রোরেল আবার চালু হবে, তা স্পষ্ট করেনি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া মেট্রো স্টেশন ঘুরে দেখেন তিনি। একপর্যায়ে স্টেশনের ধ্বংসলীলা দেখে কেঁদে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাকে বারবার নিজের অশ্রু সংবরণের চেষ্টা করতে দেখা যায়।
প্রধানমন্ত্রীর পরিদর্শন শেষে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেল স্টেশনটি দেখে গেছেন। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে স্টেশন দুটির। প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, সেটাই আমাদের বক্তব্য। মেট্রোরেল কবে চালু হবে সেটা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে জানানো হবে।’
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশনের ই-সিস্টেমের পুরোটাই ধ্বংস হয়ে গেছে। এ সিস্টেম পুনরায় সচল করতে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা লাগতে পারে।
কাজীপাড়া স্টেশনের ই-সিস্টেম অর্ধেকের বেশি নষ্ট হয়ে গেছে। এই স্টেশনের ই-সিস্টেম ঠিক হতেও ১০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ই-সিস্টেম ছাড়াও দুই স্টেশনে থাকা পাঞ্চ মেশিন, ভেন্ডিং মেশিন, বিভিন্ন ডিভাইস, কম্পিউটারসহ আরও যেসব জিনিসপত্রের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা-ও ঠিক করতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা লাগতে পারে।
ধারণা করা হচ্ছে, মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।
এদিকে মেট্রোরেলের সহিংসতায় ক্ষতি নিরূপণে ডিএমটিসিএলের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (ইলেকট্রিক্যাল, সিগন্যাল, টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ট্র্যাক) যুগ্ম সচিব মো. জাকারিয়াকে প্রধান করে আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।