Tuesday, November 19, 2024

ট্রেনের টিকিট রাখা যাবে না সচিব–কর্মকর্তার ফোনে: ফাওজুল কবির খান

Must read

রেলের কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে ট্রেনের কোনো টিকিট যাতে আগাম ধরে না রাখা হয়, সেই নির্দেশনা দিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এ ছাড়া কোনো স্টেশনের জন্য সংরক্ষিত টিকিট বিক্রি না হলে অন্য যে স্টেশনে চাহিদা আছে, সেখানে বিক্রির নির্দেশনা দেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর রেল ভবনে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের রুট রেশনালাইজেশন এবং ই-টিকিটিং ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা’ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান উপদেষ্টা।

রেল উপদেষ্টা বলেন, রেলের টিকিট কালোবাজারি বন্ধে কঠোর অবস্থানে তাঁরা। পাশাপাশি মানুষ কীভাবে টিকিট সহজে পেতে পারেন, সেই বিষয়ে কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরপর যেসব পথে চলাচলরত ট্রেনের যাত্রী চাহিদা কম, সেখান থেকে চাহিদা বেশি থাকা পথে ট্রেন বাড়ানো হবে। রেলের টিকিটের সংখ্যা বাড়াতে প্রধান বাধা ইঞ্জিন-কোচের সংকট। নতুন ইঞ্জিন-কোচ কিনতে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

ফাওজুল কবির খান বলেন, বৈঠকে রেলের টিকিট বিক্রির পদ্ধতি আরও সহজলভ্য করার বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা (ডায়াগনস্টিক) করা হয়েছে। শিগগিরই এর সুফল পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, রেলের সচিব বা কর্মকর্তাদের কাছে অনেক টিকিটের তদবির আসে। সরকারি কর্মকর্তারাও করেন। এ জন্য কিছু টিকিট আগেই বুক করে রাখা হয়। এটা চলবে না। কোনো সচিব বা কর্মকর্তার কথায় টিকিট রাখা যাবে না। সবার আগে সাধারণ জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘রেল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এটা জনগণের সম্পত্তি। রেলের সচিব, মন্ত্রীর জরুরি কাজ আছে বলে অন্যদের নেই, এমন তো নয়। আমরা দেশটাকে সাধারণ মানুষের কাছে ফিরিয়ে দিতে চাই। মৌখিক বা টেলিফোনে টিকিট বিতরণ বন্ধ হয়ে যাবে এখন থেকে।’

এক প্রশ্নের জবাবে ফাওজুল কবির খান বলেন, রেলের প্রকল্পগুলো নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। অনেক প্রকল্প আগে হয়েছে, যেগুলো কম গুরুত্বপূর্ণ। সামনে রেলের প্রকল্প নিয়ে আরও বেশি সতর্ক থাকবেন তাঁরা।

ঘুরেফিরে কিছু ঠিকাদারের কাজ পাওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, এখন আর আগের মতো পরিবেশ নেই। যে কেউ বিড করতে পারেন। সেই সুযোগ তৈরি করতে হবে। যে দুই–তিনজন ঘুরেফিরে কাজ পাচ্ছেন, এটা আর হবে না। সবাই কাজ পাবেন। রেল ও সড়ককে সেই সুযোগ তৈরি করতে হবে।

বৈঠক সূত্র জানায়, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফিজার আহমেদ ট্রেনের টিকিট বিক্রির ছয়টি দুর্বলতা তুলে ধরে সেগুলো সহজ করার পরামর্শ দেন। ছয় মাসে কীভাবে ব্যবস্থার উন্নতি করা যায়, তা নিয়ে একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল বাকী, রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রূপম আনোয়ার প্রমুখ।

- Advertisement -spot_img

More articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

Latest article