রেলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্নীতি ছিল ২০১৩ সালে ৬৫০ কোটি ব্যয়ে চায়না থেকে ২০ সেট ডেমু বা প্লাস্টিক খেলনা আমদানি করে নিয়ে আসা। পতিত সরকারের রেলে লুটপাটের শুরু এই ডেমু দিয়েই।
৩০ বছর কার্যক্ষম থাকার কথা হলেও তা মাত্র দুই বছরেই অচল হয়ে বসে যেতে থাকে। ৫/৬ বছরের মাথায় পরিণত হয় সম্পূর্ণ ভাঙ্গরিতে।
২০ সেট প্লাস্টিক খেলনা ডেমুর জন্য দেশের ক্ষতি বা লুটপাট হয় প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা।
অথচ ১৯৫২ সালের ইঞ্জিন এখনো লাইনে চলছে।
না, এরজন্য কোনো তদন্ত কমিটি হয়নি। হয়নি কোনো সাজা বা শাস্তির ব্যবস্থা। যারা যারা জড়িত ছিল বা দায়ী, তারা সবাই বহাল তবিয়তে চাকুরি থেকে বিদায় নিয়ে হয়ত কানাডার বেগমপাড়ায় বিলাসী জীবন যাপন করছে।
চাইনিজ সাপ্লায়ার ঐ কোম্পানিকে ব্ল্যাকলিস্টেড না করে গত এক বছর আগে তাদের দ্বারা আবার ১০০ কোচ তৈরি করে আনা হয়েছে। এই এক বছরেই ওই ১০০ কোচে প্রায় ১৪/১৫ রকমের ত্রুটি দেখা দিয়েছে। মানে নিন্মমানের চাইনিজ মাল। মানে খাওয়া দাওয়া হয়েছে অনেক।
আপনারা কি জানেন ইঞ্জিনের গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান যন্ত্রাংশ ইন্ডিয়া চায়না থেকে নিয়ে তাতে স্টিকার লাগিয়ে আমেরিকা, কানাডার বলে অত্যধিক মূল্যে রেলে সরবরাহ করা হয়।
এ সরকারের আমলেও কি দুর্নীতি সমূহের তদন্ত এবং দুর্নীতি বন্ধের একটি স্থায়ী সমাধান বের হবে না!!
আমরা রেল উপদেষ্টা মহোদয় তথা বর্তমান সরকারের কাছে আহবান করছি, বিগত ১৫ বছরে রেলের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক।