১৯৭১ সালের পর ২০২৪, ইতিহাস সৃষ্টির এক বছর। এই এক বছরে প্রবল প্রতাপশালী এক সরকারের পতন হয়েছে, এসেছে নতুন সরকার। অথচ কোনো সরকারই ট্রেনের স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে পারেনি। একবার ট্রেনের টাইম শিডিউল ঠিক হলে কখনও দুর্ঘটনা, কখনও আগুন, কখনও বগি লাইনচ্যুত হওয়া, আবার কখনও আন্দোলনসহ নানা কারণে বিপর্যয় হচ্ছে শিডিউলের। ফলে বরাবরের মতো ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা।
এ ছাড়া নতুন নতুন ট্রেনের উদ্বোধন এবং রেললাইন প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ায় মানুষকে যেমন আনন্দ দিয়েছে, তেমনি ট্রেনের ভাড়া বেড়ে যাওয়া, আন্তঃদেশীয় ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়া মানুষকে কষ্ট দিয়েছে। অন্যদিকে, ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর ঘটনা তো আছেই।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি লোক দেখানো নির্বাচনে জিতে ১১ জানুয়ারি পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি ৪ আগস্ট পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পেরেছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। হিসাব করলে দেখা যায়, বিদায়ী বছরের প্রথম ছয় মাস দেশ চালিয়েছেন শেখ হাসিনা এবং শেষ ছয় মাস মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ন্যস্ত।
শেখ হাসিনার ৬ মাসে রেলওয়েতে যা ঘটেছে
বছরের শুরুতে অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। নির্বাচনী সহিংসতায় ৫ জানুয়ারি রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস (৭৯৫) ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে ট্রেনের মোট চারটি বগি পুড়ে যায়। রাত ৯টা ৫ মিনিটে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে শুরু করে। ১০টা ২০ মিনিটে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।