(মো ইপাজ খাঁ মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি)
চার বছর ধরে বন্ধ সিলেট-ছাতক রেলপথ সংস্কারের কাজ অবশেষে শুরু হচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সংস্কার কাজ শুরু হবে। এ তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহা পরিচালক মো. আফজাল হোসেন।
তিনি বলেছেন. ছাতক কংক্রিট স্লিপার প্ল্যান্টে ১৫ হাজার স্লিপার উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল আনা হয়েছে। যদি ১৫হাজার স্লিপার উৎপাদন করতে পারি তাহলে পরবর্তীতে আরও কাঁচামাল সংগ্রহ করে উৎপাদন বাড়ানো হবে।
ছাতক-সিলেট রেললাইন সংস্কার ও চালুর বিষয়ে গতকাল শুক্রবার রেলওয়ের মহা পরিচালক বলেন, সম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় রেললাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এটি সংস্কারের জন্য বিগত সরকারের আমলে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। ওই প্রকল্প প্রনয়ন ও অনুমোদন শেষে দরপত্রের মাধ্যমে অনুমোদন হয়েছে। আশা করি আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সংস্কার কাজ শুরু হবে।
সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে দেড় বছর সময় লাগতে পারে। সংস্কার কাজ শেষ হলে চালু হবে ছাতক-সিলেট ট্রেন। বন্ধ থাকা ছাতক-ভোলাগঞ্জ রোপওয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি আপাতত চালুর কোন সম্ভাবনা নেই।কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাথর পরিবহনে ভাড়া নিতে চাইলে দরপত্রের মাধ্যমে বিষয়টি কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করতে পারে।
শুক্রবার বিকেলে ছাতকবাজার রেল স্টেশন ও কংক্রিট স্লিপার প্লান্ট পরিদর্শন এবং এটি চালুর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক মন্ত্রী-এমপি দ্বন্দ্বে ৪ বছর ধরে বন্ধ থাকা সিলেট-ছাতক রেলপথ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এর অনুমোদন দেওয়া হয়।
এদিকে, দীর্ঘদিন ঐতিহ্যবাহী ছাতক-সিলেট রেল-যোগাযোগ জোড়াতালি দিয়ে চলে আসছিল। তবে করোনা মহামারি শুরু হলে সারা দেশের অন্যান্য রেলপথের মতো এই পথটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। করোনার পরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের রেল চলাচল স্বাভাবিক হলেও ছাতক-সিলেট রেল-যোগাযোগ আর চালু হয়নি। পরে ২০২২ সালের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ছাতক-সিলেট রেললাইনের ছাতকের অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রায় ১৩ কিলোমিটার রেললাইন লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়।