Sunday, April 20, 2025

অর্ধশত যাত্রী রেখেই চলে গেল ট্রেন, স্টেশন মাস্টার অবরুদ্ধ

Must read

নাটোরে নির্ধারিত সময়ের আগেই স্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ায় অন্তত ৫০ জন যাত্রী ট্রেনে উঠতে পারেনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে নাটোর  স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংবাদটি লেখা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা নাটোর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারের কক্ষের সামনে অবস্থান করছেন। 

যাত্রীদের অভিযোগ— চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১১ টা ৫৯ মিনিটে নাটোর স্টেশনের দুই নম্বর প্লাটফর্মে ঢুকেই না থেমেই ১২ টা বাজতেই স্টেশন ছেড়ে যায়। এতে অন্তত ৫০ জন যাত্রী ট্রেনে উঠতে ব্যর্থ হন। অন্তত তিন মিনিট ট্রেন দাঁড়ানোর কথা থাকলেও ১ মিনিটের কম সময়ে ছেড়ে যাওয়ায় অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে নামতে পারেনি বলেও জানান তারা।

শিমুল হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, “সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি  ১ ঘন্টা লেটে আসে নাটোর স্টেশনে। নাটোর স্টেশনে ১১ টা ৫৯ মিনিটের দিকে ঢুকে ১ মিনিটেরও কম সময় স্লো করে চলে যায়। এতে আমি সহ অনেক যাত্রী উঠতে ব্যর্থ হই। আমার সামনে দুইজন যাত্রী ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে নামেন এবং আহত হন। অনেক যাত্রী নামতেই পারেননি।”

“আমাদের কথা হচ্ছে, ট্রেনের তো স্টেশনে নির্ধারিত সময় থেমে থাকার কথা। কিন্তু না দাঁড়িয়ে কেন চলে গেল? এর দায়টা কার? আমরা স্টেশন মাস্টারকে এ ব্যাপারে জানানোর পরও তিনি কোন জবাব দেননি।” 

আসাদুজ্জামান নামে আরেক যাত্রী বলেন, “রাজশাহী থেকে আমরা নাটোর হয়ে খুলনায় যাওয়ার জন্য এসেছি। ১৪ টি টিকেট কেটেছি, পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটি বিয়ের দাওয়াতে যাওয়ার জন্য। দ্বিতীয় প্লাটফর্মে দাঁড়াই, সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢুকতেই আবার ছেড়ে চলে যায়। আমরা কোনভাবেই ট্রেনটিতে উঠতে পারলাম না। স্টেশন মাস্টার কে এসে বললাম তিনি কোন ব্যবস্থা না করে উল্টা-পাল্টা কথা বলছেন।” 

এ বিষয়ে নাটোর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার শামীম হোসেন বলেন, “সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি তিন মিনিট থামার কথা থাকলেও দেড় মিনিটের মতো দাঁড়িয়েই ছেড়ে চলে যায়। সে কারণে অনেক যাত্রী উঠতে পারে নাই। ওই রুটে বিকল্প কোন গাড়িও এখন নেই, যে তাদেরকে তুলে দেবো। আমি কন্ট্রোল রুম কে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা বলছে যে- যাত্রীরা অন্য বগিতে উঠতে পারতো।”

তিনি আরো বলেন, “গাড়ি ছেড়ে আসলে আমি লাইন ক্লিয়ার দিয়ে দেই, গার্ডের দেখার বিষয় প্যাসেঞ্জার ক্লিয়ারেন্সের। সেটা গার্ড দেখেনি।”

- Advertisement -spot_img

More articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

Latest article