বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে দুই দাবিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন। দাবি আদায় না হলে ২৮ জানুয়ারি থেকে কর্মবিরতির হুমকি দিয়েছেন তারা।
আগামী ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দাবি পূরণ না হলে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল চলাচল না করার ঘোষণাও দিয়েছেন। এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে নানা কর্মসূচি পালন করছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, চরম জনবলসংকটে থাকা বাংলাদেশ রেলওয়েতে রানিং স্টাফদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ৪৬ শতাংশ জনবল নিয়ে চলছে রেল। ৫৪ শতাংশ পদ শূন্য। রানিং স্টাফের মধ্যে আছেন লোকো রানিং স্টাফ, গার্ড ও টিটিই।
তাদের দাবি দুটি হলো, পার্ট অব পে-রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন ও গ্র্যাচুয়েটি দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০২১ সালের ৩ নভেম্বরের পত্রের অসম্মতি প্রত্যাহার এবং নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত রানিং স্টাফদের নিয়োগপত্রের বৈষম্যমূলক ১২ ও ১৩ নম্বর শর্ত বাতিল করে রেলওয়ের প্রচলিত কোড ও বিধিবিধানের আলোকে আদেশ জারি করা।
বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘রানিং কর্মচারীদের রানিং অ্যালাউন্স, যা মূল বেতনের অংশ, তা যোগ করে পেনশন নির্ধারণের বিধান ১৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে। এটি বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অর্থসচিব, অর্থমন্ত্রী দ্বারা বারবার স্বীকৃত। এখনো আমরা রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন ও গ্র্যাচুয়েটি পেয়ে আসছি। কিন্তু ভবিষ্যৎ জটিলতা এড়াতে লিখিত আদেশ প্রয়োজন।’
মীমাংসিত একটি বিষয়কে নিয়ে বারবার জটিলতা সৃষ্টি করা দূরভিসন্ধিমূলক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নতুন রানিং স্টাফদের নিয়োগপত্রের বিধিবহির্ভূত ও বৈষম্যমূলক ১২ ও ১৩ নম্বরর শর্ত বাদ দিতে হবে।
এই বেআইনি শর্ত দিয়ে ২০২২ সাল থেকে নিয়োগকৃত এবং বিভাগীয় পদোন্নতি প্রাপ্ত রানিং স্টাফদের রানিং অ্যালাউন্স প্রাপ্তিতে বঞ্চিত করা হচ্ছে। যেসব বিধিবিধানে তাদের রানিং স্টাফ হিসেবে কাজ করানো হচ্ছে, সেসব বিধিবিধানেই আগের রানিং স্টাফদের মতো রানিং অ্যালাউন্স দিতে হবে। দাবি আদায় না হলে আগামী ২৮ জানুয়ারি থেকে কর্মবিরতি পালন করব। এ ছাড়া বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. সুবক্তগীন বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার। আমাদের ডিজি মহোদয় চেষ্টা করছেন। তারা আমাদের স্মারকলিপি দিয়েছেন। আমরা সেটি গ্রহণ করেছি। আশা করি, তারা যে আলটিমেটাম দিয়েছে, তার আগেই একটি ভালো সমাধান হবে।’