ঢাকা, ৭ মার্চ ২০২৫:
বাংলাদেশ রেলওয়ে ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত ছিল ১৯৫৩ সালে, যখন কানাডার তৈরি “ইএমডি বি১২” মডেলের ডিজেল লোকোমোটিভ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) কাজ শুরু করে। এটির প্রথম ডিজেল লোকোমোটিভ ছিল মিটার গেজ আর্কিটেকচারে তৈরি এবং এটি ছিল বাংলাদেশের রেলওয়ের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা।
এই ডিজেল লোকোমোটিভের মডেল ছিল “ইএমডি বি১২”, এবং এটি ছিল ডিজেল-ইলেকট্রিক প্রযুক্তি দ্বারা পরিচালিত। ইঞ্জিনটির মডেল ছিল ই এম ডি ২ স্ট্রোক ১২-৫৬৭বি, যার মোট শক্তি ছিল ১,১২৫ হর্স পাওয়ার। এই ইঞ্জিনের বিশেষত্ব ছিল এর মিটার গেজ ডিজাইন এবং ডিজেল-ইলেকট্রিক পদ্ধতিতে কাজ করা। ২০০০ সিরিজের মোট ৪০টি লোকোমোটিভ বাংলাদেশে আনা হয়েছিল এবং এর মধ্যে এখনও কিছু সচল রয়েছে।
বর্তমানে, ২০০০ সিরিজের লোকোমোটিভগুলো রেলওয়ের সবচেয়ে কঠিন কাজ, বিশেষ করে মালবাহী ট্রেনের চালনায় ব্যবহার হচ্ছে। যদিও আজকের দিনে আরো উন্নত ও শক্তিশালী ডিজেল ইঞ্জিন দেশে আসলেও, এই পুরনো ইঞ্জিনগুলো এখনও রেলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে তাদের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বর্তমানে এই ইঞ্জিনগুলো বিশেষ করে বুড়ো হাড়ের ভেল্কি দেখাচ্ছে এবং রেলের অবকাঠামো এবং কার্যক্রমে তাদের গুরুত্ব অপরিসীম।
বর্তমানে ২০০০ সিরিজের ইঞ্জিনগুলোর মধ্যে ২০১৫, ২০২১, ২০২২, ২০২৩, ২০২৫, এবং ২০৩০ মডেলগুলো এখনও সচল অবস্থায় রয়েছে। তবে, ২০০০ সিরিজের এই ডিজেল লোকোমোটিভগুলোর জীবনের এক বিশাল অধ্যায় সমাপ্ত হতে চলেছে, কারণ বাংলাদেশের রেলওয়ে বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তি এবং অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন লোকোমোটিভের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
এটি ছিল বাংলাদেশের রেলওয়ের প্রথম ডিজেল লোকোমোটিভ, এবং পাহাড়তলী ডিজেল শপ, চট্টগ্রাম-এ রাখা প্রথম মিটার গেজ ডিজেল লোকোমোটিভ ২০০০ সিরিজ এই ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
এটি বাংলাদেশের রেলওয়ের এক স্মরণীয় যুগের সূচনা এবং এখনও, রেলওয়ের ইতিহাসে এই ডিজেল ইঞ্জিনগুলোর স্থান অমলিন।