পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যথাযথ সমন্বয়ের মাধ্যমেই নির্মিত হবে মেট্রোরেল প্রকল্প এমআরটি লাইন-১। এ লক্ষে প্রকল্পের ডিজাইন প্রণয়নের প্রতিটি ধাপে রাজউক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড ও পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় করা হয়েছে।
সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) পরিচালক মো. আবুল কাসেম ভূঁঞার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে ও এমআরটি লাইন-১ এর মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করে বেশকিছু ছোট-বড় ডিজাইন পরিবর্তন আনা হয়েছে। পূর্বাচল নতুন শহরের সংযোগ রক্ষা করতে ও যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে বিভিন্ন সময় রাজউক, ডিএমটিসিএল, সেনাবাহিনী ও সংশ্লিষ্ট পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের অধীনে কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের সেন্ট্রাল আইল্যান্ড বরাবর ১১ মিটার জায়গা ব্লক করা হবে, তবে উভয় পাশে তিন লেন করেই উন্মুক্ত রাখা হবে। ফলে চলাচলে কোনও দুর্ভোগ সৃষ্টি হবে না বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়া, সমন্বিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নিচের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে—
১। এমআরটি লাইন-১, ঢাকা বাইপাস সড়ক প্রকল্প ও কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের উন্নয়ন প্রকল্পের ইন্টারসেকশন ডিজাইন পর্যালোচনা করে পুনঃউপস্থাপন করা হবে।
২। জোয়ার সাহারা স্টেশন সংলগ্ন ৭ হাজার ৭০০ বর্গমিটার এলাকায় অস্থায়ী ধাতব প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ করা হবে, যা নির্মাণ শেষে সরিয়ে নেওয়া হবে।
৩। বোয়ালিয়া নদীর ওপর সেতু সম্প্রসারণ ও বালু ব্রিজে লং স্পান স্টিল ট্রুসস ব্রিজ নির্মাণে রাজউক সম্মতি দিয়েছে।
৪। পূর্বাচল নতুন শহরের ৩০০ ফুট রাস্তার জমি এলিভেটেড স্টেশনের প্রবেশ ও বহির্গমন পথের জন্য ব্যবহার করা যাবে।
৫। এক্সপ্রেসওয়ের যেকোনও ক্ষয়ক্ষতি সীমিত রাখা ও পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে হবে।
৬। এমআরটি লাইন-১ এর আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে এলিভেটেড অংশে রূপান্তর অংশ বাস্তবায়নে ৩০০ ফুট রাস্তার জমি ব্যবহার করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় কোনও ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল না এবং সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা নিয়মিত সমন্বয়ের মাধ্যমেই কাজ করে যাচ্ছে।