স্টাফ রিপোর্টার :
রিপন নামে এক যাত্রী আজ ২১ এপ্রিল শায়েস্তাগন্জ হতে চট্রগ্রাম যাওয়ার জন্য স্টেশন কাউন্টারে গিয়ে পায়নি কোন টিকিট, ট্রেনে যেহেতু যেতে হবে, তাই স্টেশনেই পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলো। হঠাৎ স্টেশনে এক ভদ্র লোক তার সামনে এসে হাজির গলায় ঝুলানো রেলওয়ে দপ্তরের আইডি কার্ড। যাত্রী বুঝতে পারলো সে একজন রেল কর্মচারী । রেলকর্মচারী যাত্রীকে জিগ্যাস করলো কোথায় যাবেন? যাত্রী বললো ভাই কাউন্টারে গিয়ে টিকিট পেলাম না, আমি তো চট্রগ্রাম যাব! রেল কর্মচারী বললো আপনি আমার সঙ্গে চলেন, আমি ব্যবস্থা করে দিচ্ছি! রেলকর্মচারী যাত্রী নিয়ে উঠলো ট্রেনের নামাজের কক্ষে। ট্রেনে দায়িত্বে থাকা স্টাফরা নিষেধ করলে শুনেনি কোন কথা, জোর করে মসজিদে বসলো যাত্রী নিয়ে। পরিচয় জানতে চাইলে রেল কর্মচারী বলে উঠলো যাত্রী তার ভাই। ট্রেনটি আখাউড়া প্রবেশের পূর্বে রেলকর্মচারী টিটিইকে টাকা দিতে হবে বলে , যাত্রীর কাছ থেকে ৪০০ টাকা কৌশলে নিয়ে নিল। যাত্রী বললো আমাকে টিকিটের জন্য কেউ ধরলে আমি কি বলবো! রেলকর্মচারী বললো আপনি আমার আইডিকার্ডের ছবি নিয়ে রাখেন আর মোবাইল নাম্বার রেখে দিন, কেউ জিগ্যাসা করলে আমার কার্ডটি দেখাবেন।
কার্ডটিতে রেলকর্মচারীর নাম লিখা আছে মো: নুরুল ইসলাম, পদবী- পোর্টার, ডিসিও দপ্তর, কার্ড নং- DCO/777, মোবাইল নাম্বার 01619085666 যাত্রীকে এই সকল তথ্য দিয়ে রেলকর্মচারী আখাউড়া নেমে যায়। ট্রেনটি আখাউড়া ছাড়ার পর টিটিই টিকিট চাইলে যাত্রী বললো আমি তো ভাড়া দিয়েছি। কাকে দিয়েছেন টাকা? তখন যাত্রী এই তথ্য গুলো দিল। পরিশেষে টিটিই আখাউড়া হতে চট্রগ্রাম পর্যন্ত ভাড়া ২৪০টাকা এবং অতিরিক্ত ৬০ টাকা জরিমানা নিয়ে সর্বমোট ৩০০টাকা ভাড়া আদায় করেন যাত্রীর কাছ থেকে। যাত্রী চট্রগ্রাম হতে রাঙ্গামাটি যাওয়ার ভাড়া তার কাছে নাই। যাত্রা পথে ৭০০টাকা ভাড়া দিয়ে যাত্রী পড়েছে বিপাকে!