নিজেদের দামি জমি বেসরকারি কোম্পানিকে দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে রেলওয়ে। চট্টগ্রামের স্টেশন রোডসংলগ্ন জায়গায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে ১৫ তলা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ হবে। এ লক্ষ্যে এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে।
মঙ্গলবার রেলভবনে রেলওয়ের পক্ষে আহসান জাবির ও এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেডের পরিচালক আনোয়ার হোসেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্রে সই করেন। চুক্তির আওতায়, রেলের জমিতে যে ভবন হবে, সেখানে শপিং মল, গেস্টহাউস, অফিস, সিনেপ্লেক্স, কনভেনশন সেন্টার, পারিবারিক বিনোদনকেন্দ্র ও অ্যাপার্টমেন্ট থাকবে। ভবনের নকশা প্রণয়ন ও নির্মাণের পুরো দায়িত্ব এপিক প্রপার্টিজের। এতে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। ৪০ বছর নিয়ন্ত্রণের পর রেলওয়েকে ভবনটি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সরকারের বর্তমান নীতি অনুযায়ী উন্নয়ন কার্যক্রমের ৩০ শতাংশ পিপিপির ভিত্তিতে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পিপিপিতে রেলওয়ের ১২টি প্রকল্পের মধ্যে এরই মধ্যে দুটির চুক্তি স্বাক্ষর হলো।
মন্ত্রী বলেন, একটি দেশের উন্নয়নের স্বার্থে রেলওয়ের উন্নয়ন প্রয়োজন। যে দেশ যত উন্নত, তার রেল যোগাযোগব্যবস্থা তত উন্নত। উন্নত দেশের স্টেশনগুলোর পাশে শপিং মল করা হয়। দেশের রেলব্যবস্থাকেও একইভাবে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রেলের অনেক জমি আছে স্টেশনগুলোর পাশে। শপিং মল করে সেখান থেকে অর্জিত আয় দিয়ে একসময় রেলওয়েকে স্বয়ংসম্পন্ন অবস্থা ও লাভজনক করা সম্ভব হবে।
রেলের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, রেলের যে জমিগুলো পিপিপি প্রকল্পের নামে বেসরকারি খাতে দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো খবুই দামি। কোথাও কোথাও এক শতাংশ জমির দাম কোটি টাকার ওপরে। ৪০ বছর পর রেল কী পাবে—এই আশায় দামি জমি ছেড়ে দেওয়া কতটা যৌক্তিক, তা বিবেচনার বিষয়।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারের পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নিবার্হী সুলতানা আফরোজ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর, রেলের মহাপরিচালক ডি এন মজুমদার প্রমুখ।
সূত্র: প্রথম আলো