নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঠাকুরগাঁও রোড স্টেশনে ট্রেন ফেরানোর ঘটনাটি নিয়ে ছড়িয়ে পড়া বিভ্রান্তির বিষয়ে মুখ খুলেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আবু হেনা মোস্তফা আলম। তিনি বলেন,
“আমার জন্য ট্রেন ব্যাক করা হয়নি। এ বিষয়ে অফিস থেকে কোনো নির্দেশও দেওয়া হয়নি। দায়িত্বপ্রাপ্ত কিছু কর্মচারী নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ট্রেনটি ফিরিয়ে এনেছে, যা একেবারেই নিয়মবিরুদ্ধ।”
তিনি আরও বলেন,
“আমি সারাদিন পরিদর্শন কাজে ব্যস্ত ও শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলাম। ট্রেন ছাড়ার শব্দ শুনে যখন স্টেশনে ফোন করি, তখন জানানো হয় ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। আমি ভাবছিলাম বিকল্প পথে গন্তব্যে যাব, কিন্তু কিছুক্ষণ পর দেখি ট্রেন আবার ব্যাক করছে — তখন আমি নিজেও হতবাক হয়ে যাই।”ব্যবস্থাপক জানান, যাত্রীদের ভোগান্তি কোনোভাবেই কাম্য নয়। তিনি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে ইতোমধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন, যাতে জানা যায়— কে বা কারা অনুমতি ছাড়া ট্রেনটি ফিরিয়ে এনেছিল।
“একটি ট্রেন একবার ছাড়ার পর সেটি আর ব্যাক করা যায় না। নিয়ম ভঙ্গ করে কেউ যদি এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে,”— বলেন তিনি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৪টা ২৬ মিনিটে পার্বতীপুরগামী কাঞ্চন সেমি আন্তঃনগর ট্রেনটি ঠাকুরগাঁও থেকে ছাড়ে এবং কিছুদূর পর আকস্মিকভাবে ফিরে আসে। এতে সাময়িকভাবে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ডিআরএম আবু হেনা মোস্তফা আলম বলেন,“রেলওয়ের সুনাম ও যাত্রীসেবা রক্ষায় আমি কোনো অবস্থাতেই নিয়মবহির্ভূত নির্দেশ দিইনি। এই ঘটনায় যাত্রীদের কষ্ট হয়েছে, যা দুঃখজনক। তবে আমি নিশ্চিত করছি— এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।”

