মনিরুজ্জামান মনির :
১৫ নভেম্বর, জাতীয় রেলপথ দিবস। ১৮৬২ সালের এই দিনে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে কুষ্টিয়ার জগতি পর্যন্ত ৫৩ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ স্থাপনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও সমৃদ্ধ রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার যাত্রা। সেই দিন থেকেই বাঙালির জীবন, অর্থনীতি ও যাত্রা সংস্কৃতিতে রেলপথ এক অনন্য অধ্যায়ের সূচনা করেছিল।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি ১৩৬ বছরের সেই গৌরবময় ইতিহাসকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে। আমরা বিশ্বাস করি— রেলপথ কেবল ইতিহাস নয়; এটি মানুষের অনুভূতি, স্মৃতি, স্বপ্ন ও যাত্রার অংশ।
পোষ্য সোসাইটি দীর্ঘদিন ধরে যেসব বিষয় জোরালোভাবে তুলে ধরছে—
১- রেলওয়ে পোষ্যদের ঐতিহাসিক অধিকার রক্ষা
২- ট্রেন নিরাপত্তা ও যাত্রী সেবার মানোন্নয়ন
৩- রেল জমি দখলমুক্ত করে উন্নয়ন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তকরণ
৪- DG–কে পূর্ণ প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রদান
৫- নিয়োগে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা
৬- অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পরিবারকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়া
৭- বয়স উত্তীর্ণ রেলওয়ে পোষ্যদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে রেলওয়ে পোষ্য সুপার মার্কেট নির্মাণ
৮- ভুমিহীন রেলওয়ে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের আবাসস্থল এর জন্য ১০ শতক ভুমি বরাদ্দ
এসব দাবি রেলওয়েকে আরও মানুষের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলবে।
রেলপথ—১৩৬ বছরের যাত্রায় বাংলাদেশের গর্ব, আশা ও ভবিষ্যতের দিশারী। ১৫ নভেম্বর একটি দিবস নয়—এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। রেলপথ আমাদের অর্থনীতি, সমাজ, স্মৃতি ও জাতীয় পরিচয়ের অঙ্গ।
আগামী দিনে আমরা আশা করি— একটি আধুনিক, নিরাপদ, দ্রুত, যুগোপযোগী ও দুর্নীতিমুক্ত রেল ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে, যার কেন্দ্র হবে জনগণ, সেবা এবং জবাবদিহিতা।
রেলপথের ১৩৬ তম জয়ের এই দিনে রেলকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং দায়িত্বশীল উন্নয়নের প্রত্যয়।
সভাপতি
বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি

