১৫ বছরের পুরোনো ও অকার্যকর পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে রেলের টিকেট বিক্রির পরিচালনা আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে রেল কর্তৃপক্ষ যথাযথ দরপত্র প্রক্রিয়ায় সহজ নেতৃত্বাধীন নতুন প্রতিষ্ঠান সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি-কে দায়িত্ব সোপর্দ করে। জনদুর্ভোগ কমিয়ে স্বাচ্ছন্দে রেলের টিকেট কাটার বিষয়টি নিশ্চিৎ করতেই রেল কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপ। কিন্তু এখানেও সমস্যা তৈরি করেছে আগের সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সিএনএস। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ সহজ-এর সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী, ৭৭টি স্টেশনে গত ১৫ বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসা সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার রেল কর্তৃপক্ষের কাছে ২১ কর্মদিবসের মধ্যে যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেবে সিএনএস। পাশাপাশি বুঝে নেয়া সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার নতুন প্রতিষ্ঠান সহজ-কে বুঝিয়ে দেয়ার কথা ছিলো রেল কর্তৃপক্ষের, যেনো সেগুলো দিয়ে টিকেটিংয়ের কাজ চলমান থাকে। কিন্ত ২১ কর্মদিবসের শেষ দিন এসে সিএনএস সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার বুঝিয়ে দেয়। এছাড়া সিডির মাধ্যমে সফটওয়্যার হস্তান্তর করলেও তার সঙ্গে ছিলোনা কোনো প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, ছিলোনো হালনাগাদ কোনো তথ্য এবং মোবাইল অ্যাপ। শেষ সময়ে এসে হস্তান্তর করায় চরমভাবে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং সহজ।
সিএনএস যথাসময়ে সফটওয়্যার হস্তান্তর করছিলো না বলে মাত্র ২১ কর্মদিবসের মধ্যেই ৭৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকেটিংয়ের কাজ চলমান রাখার জন্যে নতুন সফটওয়্যার তৈরি করতে হয়েছে সহজকে। পাশাপাশি এই ২১ দিনের মধ্যেই টিকেট কাটার নতুন ওয়েবসাইটের কাজও করতে হয়েছে নতুন প্রতিষ্ঠানটিকে, যেনো দেশের মানুষ অনলাইনে রেলের টিকেট কাটতে পারে।