কোভিড-১৯ এর কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে ফের চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত যাত্রীবাহী ট্রেন যোগাযোগ। সোমবার (১১ এপ্রিল) পুনরায় ট্রেন যোগাযোগ চালুর অনুমতি দিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রস্তুতি শেষ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় এ রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত সপ্তাহে রেল বিভাগসহ অন্য অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত ট্রেন যোগাযোগ চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়। খবর এএনআই।
দুই দেশের মধ্যে ট্রেন যোগাযোগ চালুর আগে চিৎপুর, গেদে ও হরিদাশপুরসহ ট্রানজিট পয়েন্টগুলোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় অন্য প্রস্তুতি নেওয়া শেষে জনসাধারণের জন্য রুটটি চালু করা হবে।
সিনিয়র এক কর্মকর্তা বলেন, করোনার কারণে দুই দেশের মধ্যে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে পুনরায় রুটটি চালু করার দাবি জানিয়ে আসছিল যাত্রীরা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ তাদের স্বাধীনতা দিবস থেকে রুটটি পুনরায় চালু করতে চেয়েছিল। কিন্তু প্রস্তুতি না থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র পেলে সপ্তাহখানেকের মধ্যে রুটটি চালু করা সম্ভব হবে।
এজন্য ব্যুরো অব ইমিগ্রেশন, ভারতীয় রেলওয়ে, স্বাস্থ্য বিভাগ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
গত ২০২১ সালের ২৬ মার্চ আরেকটি যাত্রীবাহী ট্রেন মিতালী এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই দেশের ট্রেন যোগাযোগ আবার চালু হলে এটিও চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।