।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
মালয়েশিয়ার এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ঘুরে বেড়ানো যায় রেলপথ মাধ্যমে। ঐতিহাসিক জঙ্গল ট্রেনটি চলে দীর্ঘ এই রেলপথে। বৈচিত্র্যময় এই রুটে ট্রেন ভ্রমণে চোখে পড়ে সবুজে ঘেরা পাহাড় পর্বতের অপরূপ সৌন্দর্য। প্রতিবছরই এই রুটে ভ্রমণ করতে আসেন লাখো পর্যটক।
পাহাড় এবং সমুদ্রে ঘেরা অপরূপ সৌন্দর্যের দেশ মালয়েশিয়া। দেশজুড়ে রয়েছে সবুজ-শ্যামল প্রাকৃতি, পাহাড়ি রাস্তা আর বনভূমি। আর এই বনভূমির সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে দেশটিতে রয়েছে ‘জঙ্গল ট্রেন’ নামের একটি বিশেষ যাত্রাপথের ব্যবস্থা। জঙ্গলের মধ্য দিয়ে ট্রেনটি পাড়ি দেয় মাইলের পর মাইল।
জঙ্গল ট্রেন, যা স্থানীয় ভাষায় ‘এক্সপ্রেস রাকয়াত তিমুরান’ নামে পরিচিত। ৫২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ট্রেনের রুটটি পাশ্ববর্তী দেশ সিঙ্গাপুরের সীমান্তবর্তী শহর জোহর বাহরু থেকে শুরু হয়ের্ থাইল্যান্ডের উত্তর পূব সীমান্তের কাছে গিয়ে শেষ হয়। যার গন্তব্য মালয় উপদ্বীপের কেন্দ্রস্থল। যেখানে রয়েছে দেশটির জনপ্রিয় সব দ্বীপপুঞ্জ।
১৬ ঘণ্টার এই যাত্রাপথে একটি ট্রেন পাড়ি দিয়ে থাকে সেম্বিলান, পাহাং এবং কেলান্তান এই তিনটি রাজ্য। এই যাত্রাপথে চোখে পড়ে বিশ্বের প্রাচীনতম তামান নেগারা রেইনফরেস্ট, ব্রিটিশদের তৈরি ঐতিহাসিক গিলেমার্ড ব্রিজসহ চোখ জুড়ানো নানান স্থান। তবে এই রুটে বড় কোনো শহর নেই। বেশিরভাগ স্টেশনগুলোই প্রত্যন্ত এলাকা এবং জঙ্গলে ঘেরা।
দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে মালয়েশিয়ার ‘জঙ্গল ট্রেন’ রুট দিয়ে ভ্রমণ আর্কষণের কেন্দ্রবিন্দু। বলা হয়ে থাকে, এই একটি রুটে ভ্রমণ করলে দেখা যায় দেশটির বেশিরভাগ স্থান। ১৯১০ সালে ব্রিটিশরা কয়েক দশক সময় নিয়ে এই রেলপথটি তৈরি করেছিলো। যার কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছিলো ১৯৩১ সালে।